পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । টানিতে থাকে; ইহাদের অদৃষ্ট ভবিষ্যতে কি হইয়াছিল, তাহু কেহ অবগত নহেন । এই জাহাজের সঙ্গে সঙ্গে জাপানিদের আর ছয় খানি জাহাজ বন্দরে আসিয়া পড়িল,—সে এক অপূৰ্ব্ব দৃশ্য...! রুষের তিন খানি বণতরী গোলা উদগীৰণ করিতেছিল,-দুর্গ হইতেও শত কামান গৰ্জিতেছিল। জাহাজের এক খানায় স্বয়ং আলেকজিফ উপস্থিত ছিলেন ; তাহার সহিত সেনাপতি জেলিনিস্কিও যুদ্ধস্থলে ছিলেন। রুষের আরও কয়েকজন প্ৰধান যোদ্ধা বিভিন্ন রণপোতে থাকিয়া যুদ্ধ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছিলেন। তাহাবা জাপানিগণের এই অভূতপূর্ব অসম সাহসিকতা দেখিয়া স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। জাপানের আট খানি জাহাজের মধ্যে ছয় খানি ‘বন্দর মুখে ডুবিল, আব্ব দুইখানি “মাইনে” সংঘর্ষিত হওয়ায় বন্দরেব বাহিরেই ডুবিয়া গেল। জাপগণের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল,-পোর্ট আর্থার বন্দরেব মুখ একেবারে বন্ধ হইয়া গেল। কষ ব্যাটেলসিপ ও ক্রুজার জাহাজগুলি আর কিছুতেই বন্দর হইতে বাহিবে আসিতে পরিবে না । আড়ামিরাল টোগো তাহার রিপোর্টে লিখিলেন, “পূৰ্ব্ব দুইবাবে এত যোদ্ধাব প্ৰাণহানি হয় নাই। এবার প্রথম জাহাজের একজনও রক্ষা পায় নাই। সকলেই দেশেবা জন্য প্ৰাণ দিয়াছে, সুতবাং তাহারা যে কি অভূতপূর্ব বীরত্ব দেখাইয়াছে, তাহ আমাদের অবগত হইবার উপায় নাই। তবে ইহাদের নাম স্বর্ণীক্ষরে জাপান ইতিহাসে লিখিত রহিবে।” এই আট খানি জাহাজে সৰ্ব্বশুদ্ধ ১৫৯ জন যোদ্ধা ছিলেন; ইহার মধ্যে ৩৬ জন মাত্র নিরাপদে জাপান যুদ্ধপোতে প্ৰত্যাগমন করিতে পারিয়াছিলেন । ১৫ জন জাহাজেই হত হন ; ১৮ জন আহত হইয়া ছিলেন, বাকি ৯০ জনের কোন সন্ধান নাই ! ইহাদের মধ্যে ৩০ জনকে রুষগণ জল হইতে উদ্ধার কবিয়াছিল, কিন্তু এই বীরদিগের মধ্যে প্রায় অৰ্দ্ধেক যুদ্ধ করিতে । করিতে প্ৰাণ দিয়াছিলেন। একজন জাপানী সেনাধ্যক্ষ “কলঙ্কের ডালি