পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b” রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । ২৭শে তাবিখে জাপানী ছয খানি ক্ষুদ্র জাহাজ। রুষ শিবির। পৰ্যন্ত আসিয়া তাহাদেব কতকগুলি কামান অকৰ্ম্মণ্য করিয়া দিল। এই রূপে জাপানিগণ রুষের বিশ মাইল বিস্তৃত সেনার সহিত দিনের পর দিন যুদ্ধ করিতে লাগিলেন । রুষগণও নিশ্চিন্ত ছিলেন না ; তঁাহারা উইজুি সহরেব উপর অনবরত গোলা চালাইতে লাগিলেন, কিন্তু ইহাতে জাপানিদিগের বিশেষ কোন অনিষ্ট হইল না । ২৯শে তারিখে জাপানিগণ প্ৰথম পোল প্ৰস্তুত আরম্ভ করিলেন। শত্রুর গোলাবৃষ্টির মধ্যে এই পোল নিৰ্ম্মাণ যে কিরূপ কঠিন কাৰ্য্য, তাহা বিশেষ করিয়া বলিবার প্রয়োজন নাই। অমানুষিক পবিশ্রম,-তাহার উপর জল ববফ হইতেও শীতল-অনেকে সেই জলে জমিয়াই মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। জলে গিয়া পনীটুনগুলি একটাব সহিত আর একটী বঁাধিতে হইবে -প্ৰাণের মায়া না করিয়া দলে দলে জাপ যোদ্ধাগণ জলে ঝাম্প দিয়া পড়িতেছেন!! একদল জমিয়া মৃত্যু মুখে পতিত হইতেছেন,-তাহাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হইয়া আব্ব একদল জলে পড়িতেছেন ! পোর্ট আর্থার বন্দরে তাহারা যেরূপ দেশের জন্য অকাতবে প্ৰাণ দিয়াছেন,-“এখানেও সেই অতুলনীয় বীরত্ব,-এখানেও এই জুলুতীরে জাপানী বীরগণ স্বদেশেবা জন্য অকাতবে প্ৰাণদান কৰিতেছেন ! চারিদিকে দিবারাত্ৰি দুইদলে যুদ্ধ চলিতেছে,-চারিদিকে শত সহস্ৰ গোলা গুলি ছুটিতেছেএই অগ্নিবৃষ্টির মধ্যে জাপবীরগণ নীরবে পোল নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন। ২৯শে বাত্রে উভয় পক্ষে ভয়াবহ গোলা-যুদ্ধ হইল। রুষগণ জুলু নদীর শেষ দ্বীপ পরিত্যাগ করিয়া অপর পারে আশ্ৰয় লইতে বাধ্য হইল। যাইবার সময় তাহারা তাহদের কাষ্ঠ নিৰ্ম্মিত ঘরগুলিতে কেরোসিন ঢালিয়া আগুণ জালিয়া দিল। ঘবগুলি ধু ধু করিয়া জ্বলিতে লাগিল। সেই আলোকে বহুদূৰ পৰ্য্যন্ত আলোকিত হইয়া গেল! ৩০শে অতি প্ৰাতে জাপানিদিগেব একটী পোল নিৰ্ম্মাণ শেষ रहे।