পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। এই সকল ভাবিয়া ঠিক সেইরূপ বন্দোবস্ত করিতে লাগিলেন। তিনি যে বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন, তদপেক্ষা আর ভাল বন্দোবন্ত হইবার উপায় छेिक ना । কিন্তু গভর্ণর-জেনারেল আলেক্‌জিফের সহিত কুরোপাটকিনের মতভেদ ঘটিল। পোর্ট আর্থার আলেকজিফের নয়নের মণি ছিল। বলিতে কি, তিনিই একরূপ এই দুর্গ ও বন্দরের সৃষ্টিকৰ্ত্তা ছিলেন ; সুতরাং এই দুর্গ ও বন্দরের দুর্দশা ঘটিলে, তঁাহাব প্ৰাণে যে বিশেষ আঘাত লাগিবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ! কিন্তু কুরোপাটুকিনের এ বন্দরের প্রতি সে মমতা ছিল না ; তিনি এই দুর্গের জন্য রুষেব জগৎবিস্তৃত মান সম্রাম জাপানী পদে বিসর্জন দিতে পারেন না। আলেকজিফ উর্তাহাকে এই দুর্গ রক্ষার্থে সৈন্য প্রেরণের জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন ; কিন্তু কুরোপাট্টকিন জানিতেন যে এ কাৰ্য্য উন্মত্ততা ভিন্ন কিছুই নহে। তঁহার একদিকে সেনাপতি কুরোকি প্ৰায় ৫০ হাজার সেনা লইয়া উপস্থিত। অপর দিকে নাজু কত সৈন্য লইয়া উপস্থিত, তাহা কেহ জানে না । পোর্ট আর্থারেব নিকট সেনাপতি ওকুর অধীনেও ৫০/৬০ হাজার সেনা আছে। তাহার অধীনে দেড় লক্ষের অধিক সৈন্য নাই ! এ অবস্থায় তিনি যদি তাহার অৰ্দ্ধেক সৈন্য পোর্ট আর্থার উদ্ধারের জন্য প্রেরণ করেন, তাহা হইলে যাহারা পোর্ট আর্থার উদ্ধারে যাইবে, তাহারা কিছুই কবিতে পরিবে না। ;-নিশ্চয়ই জাপানী হস্তে পরাজিত হইবে। যাহারা লিওযাংয়ে থাকিবে, তাহারাও কখনই নজু ও কুরোকির হস্তে রক্ষা পাইবে না। যত দিন না। তাহার অধীনে চারি লক্ষ সৈন্য সমবেত হয়, ততদিন তিনি লিন্তব্যাংয়ের ন্যায় দুৰ্ভেদ্য স্থান পরিত্যাগ করিলেই তঁহাকে পরাজিত হইতে হইবে। জাপান ষে বীরত্ব ও যুদ্ধ কৌশল দেখাইয়াছে, এবং তাহারা চারিদিকে যোজপ সৈন্ত সমাবেশ করিয়াছে, তাহাতে র্তাহার এখান হইতে এক পদ