পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৪২

SN99 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । কোথায়ও আবার উচ্চ পৰ্ব্বত-এরূপ দুৰ্গম স্থানে শক্ৰ আসিলে, তাহাদিগকে আক্ৰমণ করা যে কত কঠিন, তাহা সকলেই বুঝিতে পারেন। এই ভয়াবহ দুৰ্গম স্থানে রুষগণ আসিয়া আশ্ৰয় লইল । ১৩ই জুন তারিখে তাহদের ৩০৷৪০ হাজার অশ্বারোহী, পদাতিক, গোলন্দাজ আসিয়া এই স্থানে সমবেত হইল। পূর্ব হইতেই কতকগুলি রুষ-সেনা ওকুর সেনাদলের সম্মুখে পাহারায় ছিল ; তাহদের পশ্চাতে কি হইতেছে, জাপানিগণ তাহা ভাল বুঝিতে পারিলেন না ; তবে তাহারা জানিতেন যে রুষগণ চিরকাল নিশ্চিন্ত বসিয়া থাকিবে না, নিশ্চয়ই স্থলপথে পোর্ট আর্থার উদ্ধারের চেষ্টা পাইবে ; সুতরাং যখন ওকু রুষ-সেনার তেলিসুতে আগমনের সংবাদ পাইলেন, তখন তিনি একেবারেই বিস্মিত হইলেন না । তিনিও ইহাই চাহিতেছিলেন। পোর্ট আর্থার দুৰ্ভেদ্য ভীষণ দুর্গ সকলে চারিদিকে বেষ্টিত ছিল। সুতরাং পোর্ট আর্থার একদিনে জয় হইবে না। হয়তো যুদ্ধ করিয়া ইহা জয় করা সম্পূর্ণ অসম্ভব হইবে। বহুমাসে যখন দুর্গের সমস্ত আহারাদি ফুরাইয়া যাইবে, তখনই হয়তো কেবল দুৰ্গস্থ রুষ আত্মসমৰ্পণ করিবে। এই জন্য কত কালে যে পোর্ট আর্থার দুর্গ জয় হইবে, তাহার কোন স্থিরতা নাই। ওকু যত দিন না। কুরোকি ও নজুর সহিত মিলিত হইতে পারিতেছেন, ততদিন তঁহাকেও হস্তপদ বদ্ধ হইয়া নিশ্চিন্ত বসিয়া থাকিতে হইতেছে, সুতরাং রুষের আগমনে DD DBDS S SDDD BDDS DBBB DDS SDD SDBDBBBBD DDD করিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করা স্থির করিলেন । যদি কোনরূপে তিনি রুষকে এই যুদ্ধে পরাজিত করিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি আরও অগ্রসর হইয়া নজু ও কুরোকির সহিত মিলিত হইতে পরিবেন। তখন তাহারা তিন দিক হইতে তিন জনে লিওযাং আক্রমণ করিতে সক্ষম হইবেন! অন্তে হয়তো ইতস্ততঃ করিত, কিন্তু ওকু এক মুহুর্তের