পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেলিমার যুদ্ধ। S3) জাপানিগণ আরও অগ্রসর হইয়াছে ! চারিদিকে তাহদের ভয়াবহ গোলা ও সার্পনেল পড়িয়া কৃষদিগের সর্বনাশ সাধন করিতেছে! জাপানী. কামান রুষ কামান হইতে অনেক গুণ শ্রেষ্ঠ ছিল ; তাহাদের গোলায় কেবল যে শত শত রুষ হতাহত হইতেছিল তাহা নহে, তাহাদের অধিকাংশ কামান চুর্ণ বিচুর্ণ হইতেছিল। রুষগণ জাপানের গোলা ও গুলির সম্মুখে তিষ্ঠিতে না পারিয়া ছত্ৰভঙ্গ হইয়া লিওযাংয়ের দিকে চলিলা ! তাহদের দুর্দশার বর্ণনা হয় না ! যে যাহার। প্ৰাণ লইয়া পলাইতেছে। পশ্চাতে জাপানিগণ৷ তেলিসু দখল করিয়া সহরের উপব জয়পতাকা উড়াইয়া “বানজাই” শব্দে চারিদিক প্ৰকম্পিত করিতেছে ! ভীত পলাতক রুষগণ ব্যাকুল ভাবে মধ্যে মধ্যে পশ্চাৎ দিকে চাহিতেছে! সকল যুদ্ধেই পশ্চাতে অশ্বারোহী সেনাগণ দণ্ডায়মান থাকে ; শত্ৰুগণ রণভঙ্গ দিলে, তাহারা পলাতক হতভাগ্যগণেব উপর পতিত হইয়া তাহাদিগকে ভয়াবহ বল্লম দ্বাবা বিদ্ধ করিয়া বা তরবারে কাটিয়া নাশ করিতে থাকে। পলাতক রুষগণ ভাবিয়াছিল যে তাহদের পশ্চাতে জাপানী অশ্বারোহীগণ ছুটিয়াছে ;-তাহাই তাহাবা ব্যাকুল ভাবে পশ্চাৎ দিকে চাহিতেছিল ; কিন্তু তাহারা কোন জাপানী অশ্বারোহী দেখিতে পাইল না। ;-এমন কি পশ্চাতে কোন অশ্বেব পদ শব্দও শুনিতে পাইল না। তাহারা একটু বিস্মিত হইল, কিন্তু তাহদের বিস্ময়ভােব পর মুহুর্তেই এক ভয়াবহ আৰ্ত্তনাদে পরিণত হইল। পুর্বে সকলেই অশ্বারোহী দ্বারা পলাতক শক্রকে ধ্বংস করিতেন,-জাপান এই প্ৰথম এক নূতন উপায় উদ্ভাবন করিলেন। তঁহার কয়েকটা কামান সম্মুখস্থ পাহাড়ে টানিয়া তুলিয়া পলাতক রুষগণের প্রতি গোলা নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। এ যে অতি ভয়াবহ ব্যাপার। অশ্বারোহী আসিলে হাতাহাতি যুদ্ধ চলে,-ইহাতে যে কেবলই মৃত্যু! জাপানী গোলায়