পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8SR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । পলাতক রুষগণের যে কি দুর্দশা ঘটিল, তাহার বর্ণনা হয় না। তাহারা একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল,-শত শত হতাহত হইল! তেলিম হইতে বহুদূর পর্যন্ত পথ রুষ মৃতদেহে পূর্ণ হইয়া এক বিভীষিকায় পরিণত হইল! এই সময়ে সহসা প্ৰবল ঝড়, বিদ্যুৎ, বৃষ্টি আরম্ভ হওয়ায় রুষগণের দুর্দশা আরও বৃদ্ধি পাইল। এই একদিনের যুদ্ধে তাহাদের ৬৭ হাজার সেনা প্ৰাণ হারাইল । জাপানিগণ বলেন, এই যুদ্ধে তাহদের এক সহস্ৰ সেনা হত ও আহত হইয়াছিল। টোগোর হস্তে পোর্ট আর্থার বন্দরে, অথবা কুরোকির হস্তে জুলু নদীর তীরে, এমন কি নানসানোব যুদ্ধেও রুষের এরূপ ভয়াবহ দুৰ্দশা ঘটে নাই! আজি তেলিসুর যুদ্ধে যাহা হইল, তাহ আব্ব পূর্বে কখনও হয় নাই। এইরূপ ঘটিবে আশঙ্কা করিয়াই বিচক্ষণ কুরোপাটুকিনি পোর্ট আর্থারের সাহায্যে সৈন্য পাঠাইতে এত আপত্তি করিয়াছিলেন । সম্রাট তাহার পরামর্শ মত কাৰ্য্য করিলে, তঁাহাকে জাপানের নিকট এত লাঞ্ছিত হইতে হইত না। ত্ৰিংশ পরিচ্ছেদ । ওকুর অভিযান । অন্যান্য যুদ্ধে জয়ীগণ কাল বিলম্ব না করিয়া পলাতক শক্রিয় অনুসরণ " করিয়া থাকেন, কিন্তু জাপান এ বিষয়েও এক নূতন প্ৰথা অবলম্বন করিলেন । তাহারা এ পৰ্যন্ত রুষের সহিত যে কয়টা যুদ্ধ করিয়াছেন, তাহাতে সম্পূর্ণ জয়ী হওয়া সত্ত্বেও, তাহারা তৎক্ষণাৎ শক্রিয় অনুসরণ কমিলেন না। জুলু যুদ্ধে ও নানসান যুদ্ধে তাহারা যুদ্ধ জয়ের পর বিশ্ৰাম করিয়াছিলেন। তাহার পর পরে সকল বন্দোবন্ত স্থিায় করিয়া