পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> No e রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । এই দুর্গ সম্মুখ হইতে আক্রমণ করিয়া অধিকার করা সহজ নহে। বিশেষতঃ ইহাতে রুষের গোলা গুলিতে বহু জাপ-সেনার প্ৰাণনাশ হইবে। বামদিকে নদী,-সেদিকে যাইবার উপায় নাই ; দক্ষিণে প্ৰায় ১৫ মাইল পাহাড় পৰ্ব্বত, জঙ্গল উত্তীর্ণ হইয়া গেলে, তবে এই দুর্গের পশ্চাতে যাইতে পারা যায়। জাপানী সেনাপতি কিছুমাত্ৰ কাল বিলম্ব না করিয়া, একদল সৈন্য ও কয়েকটা কামান সেই দিকে প্রেরণ করিলেন। বীর জাপানী যোদ্ধাগণ তখন সেই রাত্রেব অন্ধকারে পাহাড় পুৰ্ব্বত জঙ্গল ভাঙ্গিয়া অতি কষ্টে অগ্রসব হইল। এখন আর শীত নাই ;-শীতের পরিবর্তে গবাম পড়িয়াছে : এই গবমে বড় বড় কামান এই দুৰ্গমপথে টানিয়া লইয়া যাওয়া যে কি কষ্টকবি ব্যাপার, তাহা সকলেই সহজে বুঝিতে সক্ষম হইবেন ; কিন্তু জাপানিগণের এ যুদ্ধে কষ্টকে কষ্ট বলিয়া জ্ঞান ছিল না।--তাহাব বীর দৰ্পে চলিল। তখন জাপানী সেনাপতি তাহার কয়েকটা কামান এক উচ্চস্থানে স্থাপিত করিলেন , কতকগুলি কামান নিম্নে উপত্যকায় রহিল। জাপানিগণ দুই দলে বিভক্ত হইয়া একদল সম্মুখে অগ্রসব হইল। অপবদল বামদিকে, নদীর তীরে তীবে চলিল। ১৯শে অতি ভোর রূত্রে উভয় পক্ষই গোলা চালাইতে লাগিলেন । এই ভয়াবহ গোলাযুদ্ধ বেলা ৯টা পৰ্যন্ত অবিশ্রান্ত চলিতে লাগিল। তৎপবে উভয় পক্ষেরই গোলাবর্ষণ মন্দীভূত হইয়া আসিল । ৯টা হইতে ৩টা পৰ্য্যন্ত কোন পক্ষেরই জয় পরাজয় ঘটিল না । জাপানী সেনাপতি তঁহার সেনাদল যতক্ষণ রুষ-দুর্গের পশ্চাতে উপস্থিত হইতে না পারে, ততক্ষণ প্রবলভাবে দুৰ্গ আক্রমণ কবিতেছিলেন। না। বেলা ৩টার সময় জাপানিগণ হোসিয়ানের পশ্চাতে উপস্থিত হইয়া সেইদিকে রুষদিগকে প্রবলবেগে আক্রমণ করিলেন। সম্মুখেও তখন জাপগণ মহাপরাক্রমে হোসিয়ান দুর্গ জয়ে ধাবিত হইলেন - তখন উড়য়পক্ষে ভয়াবহ যুদ্ধ চলিতে লাগিল। বেল পাচটার সময় জাপানীগণ।