পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । “আমবা আজ ১৯ শে জুন তারিখে ফেংহাংচেংয়ের প্রাচীরের বাহিবে । এই পবিত্র স্থানে, সকলে সমবেত হইয়াছি’। আমাদেয় সেনাদলের মধ্যে যুদ্ধে যে সকল বীব প্ৰাণ দিয়াছেন, তাঁহাদেব সম্মান কাবাই আমাদেব এই সমবেতের উদ্দেশ্য।” “মৃত বীরগণ ! আমাদেব সহিত একত্রে তোমাবা সকলে গত মার্চ মাসে আমাদের জননীসমা প্ৰিয়তম জন্মভূমি জাপানের নিকট হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিয়া, এই দুব যুদ্ধক্ষেত্রে আসিয়াছিলে । আমবা জুলু নদীব যুদ্ধে ১লা মে তারিখে পৃথিবীকে আমাদেব বীবত্ব দেখাইয়াছি। এ মহাযুদ্ধে তাঁহাই আমাদের প্রথম যুদ্ধ,-কিন্তু আমবা সকলেই জানি যে জাপানিগণের মৃত্যু ভিন্ন তাহাদেব সাহসের লোপ হইবে না। এখন পৃথিবী শুদ্ধ সকলেই এ কথা অবগত হইয়াছেন।” “হে মৃত বীবগণ ! তোমাদেব মধ্যে অধিকাংশই সেই জুলু নদীব তীরে প্রাণ দিয়াছ ;-কিন্তু এখনও যেন আমবা চক্ষে বা উপর তোমাদেব অভাবনীয় বঁীবত্বপূর্ণ যুদ্ধ দেখিতেছি । হে বীবগণ ! তোমাদেব জন্য আমাদেব হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে! তোমাদেব বহু মূল্যবান অমূল্য আত্মা সকল শান্তিতে বিরাজ করুক। নিশ্চিত জানিবে যে তোমাদেব বীবত্বকাহিনী স্বর্ণীক্ষরে ইতিহাসেবী পৃষ্ঠে আমব অজয় হইয়া চিরকালের জন্য লিখিত থাকিলে। তোমাদেব অতুলনীয় স্বদেশপ্রেম ও জন্মভূমির জন্য প্ৰাণদানেব দৃষ্টান্ত বংশপরম্পবায় বিস্তৃত হইয়া, ভবিষ্যত জাপানিগণেব হৃদয় বীরত্বপূর্ণ করিবে ।” “হে মৃত বীবগণ ! আমিবা যুদ্ধক্ষেত্রে রহিয়াছি,-আমবা “সেইজন্য তোমাদের উপযুক্ত নৈবেদ্যাদি দান ও সন্মাননা প্ৰদৰ্শন কবিতে পরিলাম না । তোমরা আমাদেব এ ক্ৰটী মার্জনা করিয়া আমাদের হৃদয়েব প্ৰশংসা ও কৃতজ্ঞতা গ্ৰহণ কবি !” । সেনাপতি নিশি আবাব ভক্তিভাবে বেদিকে প্ৰণাম করিলেন।