পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানী বন্দোৰন্ত । ySA ছিলেন। প্রত্যেক গাড়ীতে প্ৰায় দুই মণ মাল ধরিত। এই সকল গাড়ী একটী ছোট ঘোড়ায় টানিত। সেই ঘোড়াবা তার একজন লোকের উপব থাকিত । ইহাব সকলেই যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিয়াছে। এতদ্ব্যতীত ইহাদিগকে মাল বাধা ও বোঝাই করা কাৰ্য্য নূতন বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে শিক্ষণ দেওয়া হইয়াছে। এইরূপ গাড়ীর একটী দলের উপর এক এক জন সেনাধক্ষ আছেন। এই সকল সেনাধ্যক্ষও তিন বৎসব এই মালবহন বিদ্যা অতি সুন্দরীরূপে শিক্ষা করিয়াছেন। এই সকল ক্ষুদ্র গাড়ী পার্বত্য পথে অথবা কোরিয়ানদিগের সহবের অপরিসর গলির ভিতর দিয়া লইয়া যাইতে জাপানিগণের বিন্দুমাত্র ক্লেশ হইল না। জাপান-সেনাদলের পশ্চাতে এই সকল রসদ-বাহক সেনাদিগের ও অশ্ব গৰুর তিন দিনের আহারীয় লইয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছিল। এতদ্ব্যতীত ইহাদেব নিকট সৈন্যদিগেবও এক দিনের অতিরিক্ত রসাদ ছিল। সেনাগণও প্ৰত্যেকে তাহাব গলায় বিলম্বিত থলিতে এক দিনের বাধা খাদ্য ও দুই দিনেব অতিবিক্ত খাদ্য সঙ্গে লইয়াছিল। আরও • এক দিনেব। আহাৰীয় প্ৰত্যেক দলেব মালামালোব সহিত আসিতেছিল । প্ৰত্যেক ঘোড়া বা গরু, তাহাদেব এক দিনেব। ঘাস লইষাছে,-আরও দুই দিনের ঘাস দলের মালামালোব সঙ্গে আসিতেছে। এই সকল ঘোড়া গরু ছাড়াও জাপানিগণ সহস্ৰ সহস্র সৈনিক-কুলি সঙ্গে আনিয়াছেন । ইহাবা ছোট ছোট গাড়ীতে দেড় মণ দ্রব্য ঠেলিয়া লইয়া যাইতেছে। ইহারা সকলেই বলিষ্ঠ ও সুস্থাকায়--কেবল উচ্চতা বা বুকের বিস্তারে কম বলিয়াই সেনাদলভুক্ত হইতে পারে নাই। কিন্তু তাহা বলিয়া তাহারা দেশে পড়িয়া নাই,-যুদ্ধক্ষেত্রে জাপানের রসদবাহী হইয়া আসিয়াছে । ইহাবাই অতি সুবন্দোবস্তের সহিত জাপানের কোটী কোটী মণ রসদ ও যুদ্ধোপকরণ যুদ্ধক্ষেত্রে লইয়া যাইতেছে। একজন সেনাধ্যক্ষ একটী মন্দির বা বাৰ্ত্তী অধিকার করিয়া বসিলেন ;