পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पृ.वि. সঙ্গে সঙ্গে জাপানী ক্ষুদ্র যুদ্ধ-পোত সকল অতি সম্ভার্পণে কিনচো উপসাগরে প্ৰবেশ করিয়া তীরের নিকট আসিতে লাগিল। নানসান পৰ্ব্বতের নিম্নস্তরে ওকু তাহার কামান সকল স্থাপন, করিলেন,—জাহাজগুলি ঘুরিয়া রুষ-দুর্গের পশ্চাৎদিকে নিঃশব্দে গমন করিল। তখন সম্মুখে ও পশ্চাতে রুষগণ আক্রান্ত হইল। পাহাড় ও জাহাজের উপরস্থিত কামান অনর্গল অগ্নি উদগীবণ কবিতে লাগিল ; সে ভয়াবহ শব্দের বর্ণনা হয় না,-অনেকে সেই ভয়ঙ্কর শব্দে বধির হইয়া গেল ! রুষগণও প্ৰাণপণ শক্তিতে দুৰ্গ রক্ষা কবিতে লাগিলেন। সম্মুখে ৩০৷৪০ হাজার জাপানী সেনা ছয় মাইল মাত্র স্থান ব্যাপিয়া অগ্রসর হইতেছে-এখানে তাহদের আর বিস্তৃত হইবাব স্থান নাই ! এমন কি স্থানাভাবে কতকগুলি সেনাকে সমুদ্রের জলে পড়িয়া জল ঠেলিবা অগ্রসব হইতে হইল। সম্মুখে ছোট ছোট পাহাড় ছিল । জাপসেনা তাহার পশ্চাতে আসিয়া সমবেত হইল। দুই প্রহর সময়ে জাপানিগণ নিজ নিজ বন্দুকে বেয়নেট লাগাইয়া দন্তে দন্ত পেশিত করিয়া অগ্রসব হইল।। ৪৫ হাজার ফুট দূবে কষ-দুৰ্গ-মধ্যে একটা জনশূন্য গ্রাম,-তাহাব পাব আবােব ২১ শত হস্ত খোলা স্থান ! যেমন জাপ-বীরগণ পাহাড়ের পাশ্ব হইতে সম্মুখে আসিল, অমনই হাজার রুষ-বন্দুক গজ্জিল । হােত আহত, ছিন্ন ভিন্ন হইয়া জাপগণ পথিমধাস্থ গ্রামে আশ্রয়ে আসিয়া একটু দাম লইল। তৎপবে উচ্চ খোলা স্থান,- তাহার পর রুষ-দুৰ্গ-সম্মুখে “মাইন’, তাবেব বেড়া প্ৰভৃতি আছে,-কিন্তু কিছুতেই দৃকপাত না করিয়া জাপানিগণ ঘোব রোলে “বানজাই” শব্দ করিয়া রুষ-দুৰ্গ আক্রমণে ছুটিল ; কিন্তু রুষের গোলাগুলিতে সেই যুদ্ধস্থল জাপানী হত আহতে পূর্ণ হইয়া গেল। এই সকল দুৰ্দমনীয় জাপানী বীরের একজনও বঁচিল না,-কিন্তু পশ্চাৎ হইতে জাপানিগণ শক্ৰদুর্গের উপর ভয়াবহ গোলাবর্ষণ করিতেছিলেন,-দুর্গের পশ্চাৎ হইতেও জাপানী যুদ্ধপোত গোলাবৃষ্টি করিতেছিল। এইরূপে সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত NA R