পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSV) রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । তাহারা উপস্থিত হইলে জাপানের ক্ষুদ্র নৌ-সেনা নিমিষে ধ্বংসিভূত হইয়া যাইবে । তখন আমরা হাসিতে হাসিতে জাপান অধিকার कब्रेिब्रों উদ্ধতগণকে চির-দাসত্ব-শৃঙ্খলে আবদ্ধ করিব।” তাহাদের এই লম্বা লম্বা স্তোক বাক্যে দেশের লোক কতদূব উৎসাহিত হইল, তাহা বলা যায় না । তবে এটা স্থিৰ যে রুষ মহাদম্ভে যুদ্ধ আবিস্তু করিয়াছিলেন, এক্ষণে সে দম্ভ বাহিরে থাকিলেও ভিতরে আর নাই। তাহারা যে বিশেষ বিপদে পড়িয়াছেন, তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই ! তাহদের অনেকগুলি যুদ্ধপোত কৃষ্ণ সাগরে ছিল, কিন্তু সুসভ্য জাতির যুদ্ধের নিয়মানুসাবে তুবিস্ক সম্রাটেব অনুমতি ব্যতীত তাহারা এই সকল জাহাজ যুদ্ধস্থলে প্রেরণা-করিতে পারেন না ; কাবণ, এই যুদ্ধে তুৰঙ্ক নির্লিপ্ত। এই সময়ে তাহাবা নানা উপায়ে এই অনুমতি লাভের চেষ্টা পাইতে লাগিলেন, কিন্তু তুবিস্ক-সম্রাট কিছুতেই অনুমতি প্ৰদান করিলেন না। তখন রুষিয়ার ন্যায় প্ৰবল পবাক্ৰান্ত দেশ জুয়াচুরি করিতেও দ্বিধা করিলেন না । তঁহারা দুইখানা জাহাজ “রেডক্রসে” অঙ্কিত কবিয়া কৃষ্ণ সাগর হইতে বাহিরে আনিলেন । এই “বেডক্রস” সম্বন্ধে দুই এক কথা বলা আবশ্যক । সমস্ত সভ্যজগত ব্যাপিয়া এক সমিতি স্থাপিত হইয়াছে। এই সমিতিব কাৰ্য্য যেখানে যখন যুদ্ধ হইৰে, তখন ইহারা পক্ষাপক্ষ বিবেচনা না করিয়া উভয় পক্ষের আহতগণের চিকিৎসা ও শুশ্রুষা করিবেন। ইহাদের লোহিত রংয়ের ক্রুসিই চিকু বলিয়া ইহাদের “রেডক্রস সোসাইটী” নাম হইয়াছে। এই রুষ-জাপান যুদ্ধেও দুই পক্ষেই রেডক্রসের বহু চিকিৎসক, শুশ্রুষাকারিণী ও হাসপাতাল ছিল । রেডক্রসের উপর গুলিগোলা চালাইবার কাহারও অধিকার নাই,-ইহারা অরাধে সৰ্ব্বত্র গমনাগমন করিতে পারেন। ইহাদের সকলেরই হন্তে লাল জুস চিন্তু অঙ্কিত,-ইহাদের জাহাজের গায়, হাসপাতালের তাম্বুরা ও পতাকার উপর লাল ক্রুস চিহ্র। রুষ-জাহাজের গায় লাল ক্রুস চিন্তু