পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী বন্দরে । S8S তৎপরে তাহুদের একখানা জাহাজ আসিয়া রুষ-জাহাজ খানিকে টানিয়া বন্দরের বাহিরে লইয়া গেল। এই জাহাজে রুষেবা অনেক প্ৰয়োজনীয় কাগজ পত্র ছিল । কেহ বলেন যে জাপানিগণকে আসিতে দেখিয়াই রুষগণ তাহ জালাইয়া দিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন, এই সকল কাগজ পত্ৰ জাপানের হস্তে পতিত হইয়াছিল। যাহা হউক। এই জাহাজ জাপানের হস্তে পতিত হওয়ায়, রুষেব যে বিশেষ অনিষ্ট হইয়াছিল, তাহাব কোন मgनाङ् नाच्ने । চীনগণ এই ব্যাপাবে কি করিয়াছিলেন সে সম্বন্ধেও মতভেদ আছে। কেহ কেহ বলেন যে র্তাহাবা নিলিপ্ত ছিলেন,-কিছুই করেন নাই। কেহ কেহ বলেন, তাহারা জাপানেব সাহায্য কবিয়াছিলেন, কেহ কেহ আবার বলেন যে চীনে আডমিবাল জাপানকে এই জাহাজ ধৃত করিতে অনেক নিষেধ করিয়াছিলেন ; কিন্তু জাপানিগণ তাহাতে কৰ্ণপাত না কাবায় চীনে আড়ামিরাল তঁাহাব কাৰ্য্যভাব। একজন কাপ্তেনেব উপব দিয়া অন্যত্র চলিয়া গিয়াছিলেন । এই ব্যাপারে চারিদিকে এক মহা গোল উঠিল। এ যুদ্ধে চীন নির্লিপ্ত,-তাহাদের বন্দব হইতে রুষ-জাহাজ ধবিবার অধিকার জাপানের নাই। রুষ-সম্রাট ফাবাসী দূত দ্বাবা জাপান-সম্রাটের নিকট ঘোরতর আপত্তি করিলেন । তঁাহাবা চীন সম্রাজ্ঞীকেও এ কথা জানাইলেন। বলিলেন, চীনে আড়ামিরালের সমুচিত দণ্ড হওয়া উচিত। চীনেরই তাহাদেব জাহাজ তাহাদিগকে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কবিতে হইবে । র্জাৰ্ম্মানি ও ফ্রান্স এ সম্বন্ধে রুষের পক্ষ সমর্থন করিলেন। ইহার উত্তরে জাপান এক বিশেষ বিবরণী প্রচার করিলেন ;-তাহারা বলিলেন, “এই যুদ্ধে চীন রাজ্যের এক বিশিষ্ট অবস্থা ঘাঁটিয়াছে। তাহারা নির্লিপ্ত, কোন দলেই নাই—অথচ অধিকাংশ যুদ্ধ তাহদের রাজ্যের মধ্যেই হইতেছে ;- সে সকল স্থানকে যুদ্ধস্থল ব্যতিত আর কিছুই বলা যায় না।