পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGS রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । অত্যুক্তি হয় না। তাহার পর ইহাদের উপর অবিশ্রান্ত জাপানী গোলা পতিত হইবে,-রুষগণকেই হয়তো ইহাদের ডুবাইয়া দিতে হইবে! রুষের একখানি জাহাজ উত্তর দিকে গিয়াছিল,-ভুডিভস্টকের জাহাজের সহিত মিলিত হওয়াই ইহার অভিপ্ৰায় । সৌভাগ্য ক্রমে এই নাভিক জাহাজ জাপানি যুদ্ধপোতের সম্মুখে পতিত হইল না। সে ২০শে আগষ্ট সাখালিন দ্বীপের করসাকভসক নামক বন্দবে উপস্থিত হইল । এই দ্বীপ রুষেব অধীন ; এইখানে প্ৰায় ৫০০০ হাজার রুষকয়েদী কয়লার খনিতে কাজ করিতেছে। রুষের অনেক কৰ্ম্মচারীও এখানে ছিলেন । নভিকে বা কাপ্তেন জানিতেন যে জাপানী জাহাজ তাহার অনুসন্ধানে ঘুরিতেছে—তাহাই সত্বৰ কষলা লইয়া তিনি চাবটার সময় বন্দব পবিত্যাগ কবিলেন । কিন্তু দেখিলেন যে একখানা জাপানী যুদ্ধপোত আসিয়া পড়িয়াছে,-তখন তিনি পলায়ন না করিয়া যুদ্ধে অগ্রসব হইলেন। তাহাব জাহাজেৰ গতি অতিশয় অধিক ছিল, —তিনি ভাবিলেন খুব সম্ভব তিনি যুদ্ধ করিতে করিতে ভুডিভস্টক্‌ বন্দরের আশ্রয়ে গিয়া পড়িতে পরিবেন। জাপানিগণ নাভিককে ধৃত কবিবার জন্য দুইখানা ক্রুজাব জাহাজ পাঠাইয়াছিলেন। এক্ষণে তাহদেরই একখানা নাভিককে আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইল। সঙ্গে সঙ্গে এই জাহাজেব সেনাপতি অপর জাপানী জাহাজের সেনাপতিকে শীঘ্ৰ তথায় আসিবার জন্য তারশূন্য টেলিগ্রাফে অনুবোধ কবিলেন। বেলা সাড়ে-চারিটিাব সময় দুই জাহাজ নিকটস্থ হইবা মাত্র কাপ্তেন একটী কল টিপিলেন, আমনই শত শত গোলা নভিকের উপর গিয়া পতিত হইল,-নভিকও প্ৰাণপণ শক্তিতে গোলা নিক্ষেপ আরম্ভ করিল। মহা শব্দে সমুদ্র আলোড়িত হইল। কামানের মুখে ঘন ঘন বিদ্যুৎ ঋকিতে লাগিল,-ধূমে চারিদিক পূর্ণ হইয়া গেল। নভিকের সোমাখ্যক্ষগণ এত ভয়ানক চিৎকার করিয়া আজ্ঞা প্রচার করিতে লাগিলেন