পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিওয়াং যুদ্ধ । ts সময় সহসা চারিদিক একেবারে পরিষ্কার হইয়া গেল। তখন সম্মুখে এক অভূতপূৰ্ব্ব দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হইল। সম্মুখে দুই পাহাড়ের মধ্য দিয়া পথ। সেই পথের পরেই বিস্তৃত উপত্যকা। উপত্যক ভেদ করিয়া টাংহো নদী প্রবাহিত,-দুরে হাজার হাজার তাম্বু ;-পশ্চিমদিকে পর্বতেব পথে অতি বিস্তৃত মালপত্ৰ সাজ সরঞ্জামাদির গাড়ী সকল লাইনবন্দি হইয়া চলিয়াছে। রুষগণ তাম্বু সকল তাড়াতাড়ি নামাইয়া বড় বড় গাড়ীতে বোঝাই করিতেছে! সম্মুখে নদীর উপরস্থ পোলের দিকে অসংখ্য করুষ-পদাতিক, গোলন্দাজ, অশ্বারোহী সাজ সরঞ্জামের গাড়ী লইয়া চলিয়াছে ;-রুষগণ স্বদলে পশ্চাৎপদ হইতেছে! তাড়াতাড়ি নদীর পর পারে। যাইবার জন্য ব্যস্ত হইয়াছে ! এই সকল সৈন্যের উপর জাপানের কামান সকল অবিরত ধারে গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল। তাহদের বামে ও দক্ষিণে যে দুইদল সেনা ছিল, তাহারাও পলাতক রূষের উপর গোলা চালাইতে লাগিল । তাহদের কামানের ভীষণ শব্দ ও গোলার ধূম চারিদিক পূর্ণ হইয়া গেল। এই সময় শত-সহস্র রুষ-বন্দুক গজ্জিষ উঠিল। জাপ-পদাতিকগণও পলাতক * রুষের পশ্চাতে গিয়া গুলি চালাইতে লাগিল। এই সময়ে রুষের কয়েকটা কামান গজিল। তখনও রুষের অনেক সেনা ও মালপত্র পোল পার হইতে পারে নাই। জাপগণ তাহাদিগকে আক্ৰমণ করিতে আসিতেছে দেখিয়া রুষগণ। কয়েকটা কামান তাহদের আক্রমণে নিযুক্ত করিল। কিন্তু সম্মুখে পাহাড় থাকায় উভয় পক্ষের গোলায় কত হত আহত হইতেছিল, তাহ কেহ দেখিতে পাইল না । সন্ধ্যার সময় রুষ অশ্বারোহীগণ ঘোড়া সাতারাইয়া পরপারে উপস্থিত হইবার চেষ্টা কৰেিল। পাহাড়ের নদীর ভয়ানক তোড়,-অনেকে পার হইতে পারিল না। --অনেকে দোড়া সহ ভাসিয়া গেল!! অনেকে ডুবিয়া মরিল। সন্ধ্যায় অন্ধকারে চারিনিক পূর্ণ হইলে, সেই অন্ধকারে অন্ধকারে রুষগণ৷