পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুদ্ধের শেষ । SS ওকু বিপোর্টে লিখিতেছেন ৪—“৩রা প্ৰাতে আমাদেব কামান আবাব গজিল,-কিন্তু শত্ৰুগণও মহাপরাক্রমে যুদ্ধ করিতেছিল,-আমরা অগ্রসর হইতে পারিলাম না । আমবা আমাদের রুমান নিকটে আনিয়া দুৰ্গ-প্ৰাচীব ভাঙ্গিবাব চেষ্টা পাইতে লাগিলাম। কিন্তু সমস্ত দিনেও আমবা দুর্গ অধিকাব কবিতে পারিলাম না । বাত্ৰি সাতটাব সময় আমাদের সমস্ত কামান একত্রে গোলাবর্ষণ কবিতে লাগিল । সেই গোলাব আশ্রযে আমাদেব পদাতিকগণ ভীম পাবাক্রেমে শক্রিগণকে আক্রমণ করিলা । এক্ষণে ভীষণ যুদ্ধ বাধিল । এইরূপ যুদ্ধ রাত্রি ১২টা পৰ্য্যন্ত চলিল । সাড়ে বাবটা বাত্রে আমবা শক্ৰদেব সকল দুর্গ অধিকাব কবিতে সক্ষম হইলাম। তখন জাপানেৰ জয়ধ্বনিতে চাবিদিক পুর্ণ হইয়া গেল।” এই যুদ্ধে কি লোমহর্ষণ নরহত্যা হইয়াছিল, তাহা বলা যায না । জাপানোব একদল সেনায় প্ৰায় দেড় সহস্র সৈন্য ছিল , কিন্তু এই দেড় সহস্ৰোব মধ্যে কেবল ১৫১৬ জন মাত্র জীবিত ছিল । এই দলেব সেনাপতি, সমস্ত সৈন্যাধ্যক্ষ ও সেনানীগণ সম্মুখ বাণে প্ৰাণ দিয স্বৰ্গে প্ৰয়াণ কবিয়াছিলেন । এরূপ লোমহর্ষণ ব্যাপার আরও শত শত দলে হইয়াছিল । প্ৰায় ৫/৬ ক্রোশ পথ জাপানী মৃতদেহে পূর্ণ হইয। গিয়াছিল। রুষ-দুর্গের স্থানে স্থানে কষ-সেনাব স্তপোকাব মৃতদেহ। কত হতভাগ্য অশ্বও এই যুদ্ধে প্ৰাণ হাবাইয়াছিল, তাহার সংখ্যা করা যায় না ! যখন জাপানিগণ এইরূপ দুর্গ অধিকাবেব পুনঃ পুনঃ চেষ্টা পাইতেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে রুষগণ সহর ত্যাগ কবিবাবে জন্য প্ৰাণপণ শক্তিতে সকল বন্দোবস্ত স্থির কবিতেছিলেন। কুবোপাটকিন যে মহা বিচক্ষণতা ও সুশৃঙ্খলতার সহিত এ কাৰ্য্য সুসম্পন্ন কবিয়াছিলেন, তাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই ! এক্ষণে রণে ভঙ্গ দিয়া রুষগণও অতি সুশৃঙ্খলতার সহিত নগাব পবিত্যাগ করিল। কেবল একদল সৈন্য যাইবার ਸਤਸ਼ ਸ rਨ v | ਜਨ .