পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুদ্ধের পরে রুষ। ୪୪୬ থাকুক। আর নাই থাকুক-সকলেই জাপানের বীরত্বের ও বিচক্ষণতার প্ৰশংসা করিতে বাধ্য হইলেন। ফ্রান্সের সহিত রুষের বন্ধুত্ব সন্ধি ছিল-কাজেই ফবাসী দেশে রুষের জন্য সকলেই অধিক দুঃখ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। প্ৰবল পরাক্রান্ত রুষ ক্ষুদ্র জাপানের নিকট পদে পদে পরাজিত হইল-ইহাতে সমস্ত জগতেৰ চক্ষু খুলিয়া গেল। কোন কোন স্থানে “হবিদ্রো জাতির ভয়ের" কথাও ইয়োবোপে উঠিল। অর্থাৎ জাপান চীন প্ৰভৃতি হরিদ্রবংয়েব জাতি হয়তো একদিন সমস্ত ইয়োবোপকে গ্ৰাস করিলেও কবিতে পারে, এই ভয় উঠিল! সে অনেক দূরের কথা, তাহাই এ বিভীষিকা শীঘ্রই চাপা পড়িয়া গেল। এখন সকলেই আলোচনা কবিতে লাগিলেন যে এখন রুষেবা। আর যুদ্ধজয়েব আশা আছে কিনা,-কিন্তু রুষগণের আশা যায় নাই। তাহাবা পশ্চাৎপদ হইয়াছে মাত্র-ইহাকে পাবাজয় বলা যায় না। এখনও পোর্ট আর্থব জাপানিগণ জয় করিতে পারে নাই ;-তথাকার যুদ্ধপোত সকল মেরামত হইতেছে। এখনও জাপগণ ভূডিভস্টক লইতে পারে নাই। —সেখানেও দুইখানা যুদ্ধপোত আছে। এতদ্ব্যতীত রুষের অগণিত বণতরী জাপানে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়াছে।--তাহারা শীঘ্রই যাত্রা করিবে । এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুষের অধিক সেনা হানি হয় নাই-এখনও হারবিনে ও মুক্‌ডেনে কুরোপাটকিনের নিকট দুই লক্ষের অধিক সেনা আছে-এখনও রুষ হইতে ক্ৰমান্বয় সেনা আসিতেছে। ইচ্ছা করিলে রুষ অনায়াসে মাথুরিয়ায় আরও ৩/৪ লক্ষ সেনা শীঘ্রই প্রেরণ করিতে পারেন। এখনও তাহদের টাকার অভাব হয় নাই ।। ৪৫ লক্ষ সেনা হারবিনে কিম্বা মুকডেনে সমবেত হইলে, কুরোপাটুকিনের বিশ্বাস যে তিনি অনায়াসে জাপানিগণকে পরাজিত করিয়া দূর করিয়া দিতে পরিবেন । জাপানিগণও জানিতেন যে ক্লাব এখনও পরাজিত হয় নাই