পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুদ্ধের পর । Sð পাইলেই পোর্ট আর্থার ও ডালনী সহর আক্রমণ করিবে ; তাহাই তিনি দুর্গ ও সহর রক্ষার নানারূপ বন্দোবস্ত করিতে লাগিলেন। -যাহাতে টালিয়ান উপসাগরে আদৌ শত্ৰু-জাহাজ প্ৰবেশ কবিতে না পারে,-সেই জন্য তিনি এই উপসাগরে নিকটে নিকটে নানা স্থানে “মাইন” স্থাপনা কবিতে লাগিলেন। এই “মাইন” এক ভয়ানক ব্যাপার। গান কটন, ডিনামাইট প্ৰভৃতি ভয়াবহ দ্রব্যে ইহাবা অতি বৈজ্ঞানিক কৌশলে নিৰ্ম্মিত। কোন রূপে কোন জাহাজ ইহাদের একটিীতে সংঘর্ষিত হইলে, তাহার আব্ব বক্ষা নাই ! তৎক্ষণাৎ মহা শব্দে “মাইন" ফাটিয়া যায়,- সঙ্গে সঙ্গে জাহাজের নিম্ন দেশ চূৰ্ণ বিচুর্ণ কবিয়া ফেলে,-তখন সেই হতভাগ্য জাহাজ তাহার গুলি গোলা, কামান বন্দুক, সেনা সেনাপতি লইয়া সমুদ্রের গভীব গর্ভে নিমগ্ন হইয়া যায়! পোর্ট আর্থার বন্দরের সম্মুখে “মাইনের” ভাল বন্দোবস্ত থাকিলে, জাপানিগণ অন্ধকার রাত্রে নিঃশব্দে আসিয়া রুষ জাহাজের সর্বনাশ সাধন কবিতে পাবিত না । ইহাতেই বোঝা যায়, তাহাবা রুষের সকল সংবাদ মাখিত, কিন্তু রুষগণ জাপানিদিগের কিছুই জানিতেন না ! স্বাহাই হউক, এই ভয়াবহ জাহাজ ধ্বংসকারী “মাইন” সমুদ্রের মধ্যে মধ্যে স্থাপন করা সহজ বা নিবাপদ কাৰ্য্য নহে। ইহারা ভাসিয়া থাকিলে শক্ৰগণ ইহাদিগকে দেখিতে পাইবে ;-দেখিতে পাইলে দুর হইতে নিরাপদে ইহাদিগকে ধবংস করিবার যন্ত্রও আছে। যদি জলের নিয়ে দুইটা “মাইন” প্যবস্থাপবে সংঘর্ষিত হয়, তাহা হইলে উভয়ই ফাটিয়া যাইবে ;-আবােব ভালরূপ স্থাপিত না হইলে, ইহার দূর সমুদ্রে ভাসিয়া গিয়া বিভিন্ন দেশের যুদ্ধপোত ও সওদাগরী জাহাজেরও সর্বনাশ সাধন করিতে পারে । এই সকল কারণে রুষ কাপ্তেন ষ্টেপানিফ, এই ‘মাইন” স্থাপনের জন্যই নিৰ্ম্মিত “জেনিসেই” নামক জাহাজে প্ৰায় একশত মহা সাহসী নীে-সেনা লইয়া টালিয়ান উপসাগরে