পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । রুষ-যুদ্ধপোত সকল এখনও সম্পূর্ণ কাৰ্যক্ষম হয় নাই! যাহাই হউক, ৩০শে আগষ্ট ইহারা আবার ফিরিয়া বন্দরে প্রবেশ করিল ! • রুষের এই নৌ-বাহিনীর সংখ্যা সাতখানি ব্যাটেলসিপ, দুইখানি বড় ক্রুজার, ৫৬ খানি ছোট ক্রুজার এবং কতকগুলি ডেসট্রিয়ার। ইহার সহিত কতকগুলি সওদাগরী জাহাজও যুদ্ধপোতে পরিণত করিয়া রওনা করা হইতেছিল ! সুতরাং সংখ্যায় অনেক হইলেও, এই সকল যুদ্ধপোত জাপানী যুদ্ধপোতের কতদূর সমকক্ষ হইতে পরিবে, তাহা বলা যায় না। এখন কবে। এই সকল যুদ্ধপোত বাওনা হইবে, তাহাই অবগত হইবার জন্য সকলে ব্যগ্ৰ হইয়া পড়িলেন ; কিন্তু দিনেব পাব দিন কাটিয়া যাইতে লাগিল,—রুষ-যুদ্ধপোত সকল বন্দবেই বহিল ! এই সময়ে আবাব এক জনরব প্ৰচাব হইল। রুষগণ শুনিলেন যে জাপানী শত্ৰুগণ এই দূর দেশে আসিয়াও তাঁহাদের বন্দরের মুখে ও জাহাজ গমনেব পথে অতি গোপনে মাইন স্থাপন করিতেছে! এ জনরবে: সমস্ত ইয়োরোপে একটা হুলুস্তুল পড়িয়া গেল ! যে সকল জাপানী ইয়োরোপে ছিলেন, রুষেব গুপ্ত-পুলিশ তঁহাদের সঙ্গ লইল ;-রুষ ভয়ে অধীর হইয়া উঠিলেন। বোধ হয় এই জন্যই তঁহাদেব যুদ্ধপোত সকল বন্দরের বাহির হইতে ইতস্ততঃ কবিতে লাগিল। এখন স্পষ্টই বোঝা যায় যে রুষ জাপানকে ঘুণ করেন না,-ভয় করেন । ইয়োরোপেও সর্বদা জাপানের আতঙ্ক ! রুষ সকলকেই এ বিষয় অবগত করিলেন। সকল রাজ্যেই জাপানিগণের উপর দৃষ্টি রাখিতে লাগিলেন। বিশেষ কারণ না থাকিলে জাপানকে হয়তো সমস্ত ইয়োরোপের সহিত যুদ্ধ করিতে হইত। চীন আক্রমণে সমস্ত ইরোরোপ ও আমেরিকা ধাবিত হইয়াছিলেন। জাপানের পরম সৌভাগ্য ও তাঁহাদের ধন্য বুদ্ধির বল, সহিষ্ণুতা ও বিক্রম যে আর কাহারও সহিত তাহদের ইহাতেও বিবাদ বাধিল না !