পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । স্থানে এত সেনা সন্নিবেশ আর কোন আধুনিক যুদ্ধে হইয়াছে কিনা সন্দেহ ! O সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সহসা জাপানী সেনাপতিগণ তঁহাদের যুদ্ধ সজ্জার পরিবর্তন করিলেন। এত দিন তাহারা শত্ৰুগণকে সম্মুখে আক্রমণ করিবারই আয়োজন করিয়া আসিতেছিলেন, এক্ষণে হঠাৎ তাহারা আত্মরক্ষার বন্দোবস্ত কবিতে লাগিলেন। এখন তাহার বেশ সংবাদ পাইয়াছেন যে কুবোপাটকিন তঁহাদিগকে সসৈন্যে আক্রমণে উদ্যত হইয়াছেন। এক্ষণে আর শক্ৰ আক্রমণ যুক্তিসঙ্গত নহে । শত্রুর আক্রমণ প্ৰতিরোধ কাবাই কৰ্ত্তব্য, তজ্জন্য বিচক্ষণ ওয়াম সত্বর সেইরূপ যুদ্ধসজ্জা করিতে লাগিলেন। র্তাহাবা যে সংবাদ পাইয়াছিলেন, তাহা ভুল সংবাদ নহে। স্বইচ্ছাই হউক আৰ্য সম্রাটেব আজ্ঞাতেই হউক, অথবা আলেক্‌জিফেব্ব প্ররোচনাতেই হউক, ২রা অক্টোবব তাৰিখে সেনাপতি কুরোপাটুকিনি তঁাহাব সোঁগণের মধ্যে নিম্নলিখিত আজ্ঞা পত্র প্রচাব করিলেন। এই আজ্ঞা পত্র এতই বিস্ময়জনক যে ইহার আনুপুৰ্ব্বিক অনুবাদ প্ৰদান করিতে অমর বাধ্য । কুরোপাটুকিনি লিখিয়াছিলেন :-“সাতমাস আগে যুদ্ধ ঘোষিত হইবার পুর্বেই শত্ৰুগণ বিশ্বাসঘাতকতা পূর্বক পোর্ট আর্থব আক্রমণ করিয়া । ছিল। সেই অবধি রুষ-যোদ্ধাগণ জলে ও স্থলে অপূর্ব বীরত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়া আমাদের মাতৃভূমির মুখোজ্জল করিয়াছে। কিন্তু শক্ৰগণ এখনও পদদলিত হয় নাই,-ববং নিজেদের উদ্ধতায় রুষের উপর জয়ের স্বপ্ন দেখিতেছে। মাথুরিয়ায় এত দিন যে অল্প সংখ্যক রুষ সেনা ছিল, তাহদের দ্বারা শত্রুদিগকে পরাজিত করিবার সম্ভাবনা ছিল না ! যত সংখ্যক সেনা হইলে এই সকল উদ্ধত শক্রকে পরাজিত করিতে পারা যায়, তাহা এই দুর দেশে আনিতে বহু ক্লেশ, পরিশ্রম, অর্থব্যয়,