পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯა রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । সেনাপতি মরেন নাই, কিন্তু এই ভীষণ যুদ্ধে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ৰামাতোতো প্ৰাণ হারাইলেন। যাহারা স্বচক্ষে এই সকল ভয়াবহ যুদ্ধ দেখিয়াছিলেন, তঁহাদের মধ্যে একজন লিখিয়াছেন :-"জাপানিগণ অসমসাহসিক, অতুলনীয় বীরত্ব দেখাইয়াছে ! প্ৰাণেব মমতা না করিয়া তাহারা রুষের এই মৃত্যু যন্ত্র স্বরূপ দুর্গ সকল আক্রমণ করিয়াছে—রুষগণ অসীম বলে প্রতিপদে তাহাদিগকে প্ৰতিবন্ধক দিতেছে ! তাহাদেব মাথার উপব। শত্রুদিগেব গোল উদগীবিত হইতেছে,—তাহাতে তাহদের গ্ৰাহ নাই,- তাহারা জাপানী বেয়নেটের প্রতীক্ষায় অচল অটল ভাবে বসিয়া আছে । তাহাদের সাহস, সহ ক্ষমতা ও বীরত্বও ধন্য ! উভয় পক্ষই উভয়েব উপর বোমা নিক্ষেপ কবিতেছে। এই বোমার পলিতায় অগ্নি লাগাইয়া ছুড়িলে ১৫ সেকেণ্ডেব মধ্যে ফাটিয়া গিয়া সৰ্ব্বনাশ সাধন কবে । জাপানীরা ইস্থা ছুড়িবাব জন্য এক বঁাশেব ধনুক ও ব্যবহার কবিতেছে,- তাহাতে এই সকল “জিরানেড” বোমা ছয শত হাত পৰ্য্যন্ত দুবে গিয়া পড়িতেছে। সময় সমষ উভয় পক্ষে পাথর ছোড়াছুড়িও হইতেছে ! রুষগণ তাহদের তারেব বেড়ার সমস্ত তারে কলে বিদ্যুৎ চালাইতেছে-তাহাতে হাত দিলেই মৃত্যু ! কখনও জাপগণ গুলির অভেদ্য ঢালে অঙ্গ ঢাকিয়া এই সকল বেড়া কাটিবার চেষ্টা পাইতেছে;-কখনও বা তাহারা খোঁটাগুলার গায় দড়ি লাগাইয়া তাহা তুলিয়া ফেলিবার চেষ্টা পাইতেছে । এ যে কিরূপ ভয়ানক কাৰ্য্য, তাহা অনুভব করা সহজ নহে। জাপগণ সাধারণতঃ রাত্রে এই সকল বেড়া কাটিতেছে। তাহারা অন্ধকারে হামাগুড়ি দিয়া আসিয়া বেড়ার নিকট শুইয়া পড়িতেছে। তাহার পর সেই অবস্থায় একে একে তার কাটিয়া ফেলিতেছে! যখন রুষগণের সার্চ লাইটের আলো তাহদের উপর পাড়িতেছে, তখন তাহারা মক্কার মত পড়িয়া রহিতেছে। ক্লািষগণ শীঘ্রই জাপের এ ধূৰ্ত্ততা বুঝিতে পারিল,-