পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্‌ডেনের পথে । ዓዓ স্থাপিত হইল,-তাহাতে লিখিত হইল, ‘আজ হইতে এ দেশ জাপানের অধিকৃত হইল! যে ইহা স্বীকার না করিবে, তাহারই শিরশেদ করা झ्छेहद ।” কিন্তু রুষগণ শীঘ্রই এই জাপানী বীরের সংবাদ পাইলেন। র্তাহারা দুই দিক হইতে দুই দল সেনা এই জাপযোদ্ধার ৰিরুিদ্ধে প্রেরণ করিলেন । তাহাবা কাপ্তেন বুঞ্জিকে ঘেরাও কবিয়া বন্দী করিল। তাহার সঙ্গীদিগেব মধ্যে ১৫ জন যুদ্ধ করিতে করিতে মরিল। তঁহার জাহাজ রুষের হস্ত হইতে পলাইয়া দূর সমুদ্রে অন্তহিত হইল। রুষগণ বুজিব জাহাজ না পাইয়া বন্দরস্থ সমস্ত জাপানী ধীবর-জাহাজে আগুণ লগাইয়া দিল ; ইহাতে অনেক নিরপরাধী জাপানী ধীবর মৃত্যুমুখে পতিত হইল। অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ। মুকুডেনের পথে । এক্ষণে আবার আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইব । সাহে যুদ্ধ জয় করিয়া মার্সাল ওয়ামা এক সপ্তাহ সেনাদিগকে বিশ্ৰাম লাভ করিবার সময় প্ৰদান কবিলেন। এই সময়ে তিনি তঁাহার পশ্চাতস্থিত স্থান সকলও সুদৃঢ় করিতে লাগিলেন। ২৭শে অক্টোবর আবার জাপানী সেনা অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিল। সাহো নদী হইতে প্ৰায় দশ মাইল দূরে ওয়াই তাওসান নামে একটা বৃক্ষ শূন্য পাহাড় ছিল। এই পাহাড় রুষগণ অধিকার করিয়া বসিয়াছিল,- পশ্চাতে তাহদের বহু সেনা ছিল। এই পাহাড়ের উপর হইতে নিম্নে জাপানিগণ কোথায় কি করিতেছে, তাহা ৰেশ দেখিতে পাওয়া যায়।