পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিটারহিল অধিকার। bምፍ» হইয়াছে। কারণ ২৮শে তারিখে জাপানিগণ পশ্চাৎপদ হইতে আরম্ভ করিলে, তাহাবা তাহাদিগকে তাড়াইয়া লইয়া চলিল এবং ৩০শে একটা পাহাড়ে তাহদেব ঘেবাও করিবার চেষ্টা পাইল, কিন্তু জাপগণ তাহাদের হাত এড়াইয়া হটিয়া গেল,-রুষগণ তাহদের ধরিতে পারিল না। এইরূপে এই যুদ্ধ ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পৰ্যন্ত চলিল । কিন্তু এক্ষণে উভয় পক্ষেরই যুদ্ধ করা ক্ৰমে অসম্ভব হইয়া দাড়াইল। দারুণ শীত পড়িয়াছে,-সে। শীতের বর্ণনা হয় না। উভয় পক্ষের সেনাগণই মাটির ভিতব গৰ্ত্ত করিযা কোন গতিকে তথায় বাস করিতেছে । ববফ গলাইয়া না লইলে পানীয় জল পাওয়া যায় না,-তাহাও গলায় না। যাইতে যাইতে মুখের ভিতব জমিয়া যাইতেছে! মাধুবিয়াব ভীষণ শীতে উভয় পক্ষেরই যুদ্ধোৎসাহ অনেকটা স্তিমিত হইয়া গিয়াছে। এক্ষণে রুষের তিন দল সেনাই গঠিত হইয়াছে। প্ৰথম দলের সেনাপতি হইলেন জেনারেল লিনিভিচ,--দ্বিতীয় দলেব সেনাপতি হইলেন গ্রিপেনবার্গ-তৃতীয় দলেব সেনাপতি হইলেন কুলাবাস । ইহাদেব উপর সর্বপ্রথম সেনাপতি রহিলেন কুবোপাটকিন । রুষগণ স্বীকাব্য করুন। আব নাই করুন, ইহা যে জাপানের অনুকরণ, তাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। তবে এই তিন মহাবিথী কুবোকি, ওকু ও नाङ्कूव সহিত কতদুব প্ৰতিদ্বন্দিতা করিতে পাবিবেন তাহা বলা যায় না। উনবিংশ পরিচ্ছেদ । মিটারহিল অধিকার । আমরা অক্টোবর মাসের শেষ পৰ্য্যন্ত দুর্ভেদ্য পোর্ট আর্থারের কি অবস্থা দাড়াইয়াছে, তাহ বলিয়াছি । এক্ষণে নভেম্বর মাসে তথায় কি ধটিতেছে, তাহাই দেখিব। (5)