পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । করিলেন। আমেরিকাৰ প্ৰতিনিধিও জাহাজে আসিয়া সেই অনুরোধ করিয়া প্ৰস্থান করিলেন । বহু সংবাদদাতা। রুষ-জাহাজে আসিয়া পোর্ট আর্থার কি অবস্থায় আছে তাহারই সন্ধান লইতে লাগিল। রুষজাহাজেব সকলেই বলিলেন যে তাহারা খুব সুখে আছে, তাহদের কোন অভাব বা কষ্ট নাই!’ রুষ-জাহাজ কতকগুলি জাপানী সওদাগবী জাহাজের মধ্যে আসিয়া নঙ্গর করিয়াছিল,-রুষগণ যাহাতে তাহদের জাহাজ নিমিষের মধ্যে বন্দর হইতে লইয়া যাইতে পারে, ঠিক সেইরূপ অবস্থাষ জাহাজ রাখিয়াছিল,-সমস্ত দিবস কাটিয়া গেল, তবুও তাহাবা জাহাজ নিবন্ত্র কবিতেছে না দেখিয়া চীন কাপ্তেন চিং তঁহার যুদ্ধপোত নঙ্গর তুলিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইলেন। যদি রুষ-জাহাজ শী স্ত্র নিবন্ত্র না হয়, তাহা হইলে তিনি তাহার উপর গোলা চালাইবেন, এ কথাও তিনি রুষগণকে জানাইলেন । সন্ধ্যার সময। রুষগণ জাহাজ নিবাস্ত্ৰ কবিতে সম্মত হইলেন। রুষসৈন্যাধ্যক্ষ তীরে আসিলেন, কিন্তু তখনও সমুদ্রে অতিশয় তুফান উঠতেছিল, তাহাই তিনি বলিলেন এ সময়ে বড় বড় কামান জাহাজু হুইতে তীরে আনা সম্ভব নহে, সমুদ্র একটু স্থির হইলেই তাহারা জাহাজ নিরস্ত্ৰ করিবেন। রাত্ৰি সাতটার সময় জাহাজেব সমস্ত লোক জাহাজ হইতে নামিয়া আসিল এবং তাহারা লাইনবন্দী হইয়া তীরে দাড়াইয়া অস্ত্ৰ তুলিয়া জাহাজকে সম্মাননা প্ৰদৰ্শন করিল, পরমুহুর্তেই ভয়াবহ শব্দে চারিদিক প্ৰকম্পিত হইয়া উঠিল। পুনঃ পুনঃ এ ভীষণ শব্দ উখিত হইল, তৎপরে রুষের যুদ্ধপোত ধীরে ধীরে সমুদ্র গর্ভে চলিল। রুষগণ নিজের জাহাজ নিজেরাই ডুবাইয়া দিল । , এই সময়ে তিনখানা জাপানী ডেস্ট্রয়র বন্দরের মুখে আসিল, তুহারা রুষের এই অপকৰ্ম্মে রাগত হইল বটে, কিন্তু বিশেষ দুঃখিত হইল।