পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪১২

bሙ'b” রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । যেমন পতাকা প্ৰণাম কবিতেছে, মনে মনে নীরবে প্ৰতিজ্ঞা করিতেছে, " “হয় আজ দুর্গ অধিকাব কবিব, নয়। আব্ব ফিবিব না।” । এ প্ৰতিজ্ঞাব সম্মুখে কে কবে তষ্ঠিতে পাবে ? পশ্চাৎ হইতে জাপানী কামান গজিতেছে। মিনিটে মিনিটে অবিশ্রান্ত গোলা রুষ-দুর্গে পতিত হইতেছে। পদাতিক ধীবপদক্ষেপে নীবাবে চলিয়াছে। রুষেবা গুলিতে তাহাদেব ভিতব কে যেন তাহাদিগকে চধিয়া ফেলিতেছে, তবুও তাহাদেব তাহাতে দৃকপাত নাই। একদল রুষের প্রথম মৃত্তিকা গৰ্ত্তেব নিকট আসিল, তাহার পর তাহাবা তাহাব অন্তবালে অন্তহিত হইযা গেল । সকলে নিম্পন্দ নীবিব ! জাপানী গোলান্দাজগণ গোলা বন্ধ ? কবিয়া দিল। এই সকল পীব কি আব্ব এই মৃত্তিক প্রাচীবের বাহিরে কখনও আসিবে ? তথায় কি হইল, তাত বুঝিতে বিলম্ব হইল না । কিযৎক্ষণ পবে তাহাবা বহির্গত হইয়া রুষের দ্বিতীয় মৃত্তিক প্ৰাচীব দখলে অগ্রসর হইল। দলে দলে সহস্ৰে সহস্ৰে “বানজাই' শব্দে ছুটিল । রুষগণ আর দণ্ডায়মান থাকিতে পারিল না, বণে ভঙ্গ দিয়া সে দুর্গ পরিত্যাগ কবিয পশ্চাতস্থ দুৰ্গে গিয আশ্ৰয লইল । তখন জাপানের ' জয় পতাকা রুষের সর্বপ্রধান দুর্গেব উপব উড়ন্তীয়মান হইল। চাবিদিকের রুষগণ বিতাড়িত হইয়া পোর্ট আর্থাবে আশ্রয় লইল । আব্ব বোধ হয পোর্ট আর্থার পতনের অধিক বিলম্ব নাই ! বিংশ পরিচ্ছেদ । পোট আর্থারের শেষাবস্থা । এই সকল যুদ্ধে কি লোমহর্ষণ ব্যাপার ঘটিতেছিল, তাহা একজন স্বচক্ষে দেখিয়া যাহা লিখিয়াছিলেন তাহাই আমরা নিয়ে উদ্ধত করিলাম ঃ