পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVo রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। যদি প্ৰয়োজন হয়,-আমি হংকং বন্দরে যাইব,-এমন কি আমার ইচ্ছা! হয়তো আমি ভারতের যে কোন বন্দরে উপস্থিত হইব!” আঁহার এই লম্বা লম্বা কথা যদি সত্য হয়, তাহা হইলে তঁহাকে উন্মাদ ব্যতীত আর কিছুই বলা যায় না ! হংকং দুর্গের কামান সকল এবং প্ৰাচ্যদেশে ইংব্যাজের যে অগণিত যুদ্ধপোত আছে, তাহা বোধ হয় তিনি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হইয়াছিলেন। যাহাই হউক, তঁাহাব এইরূপ উন্মত্ততার জন্য ইংরাজ ও ফবাসীতে যুদ্ধ প্ৰায় বাধিয়া উঠিবার উদ্যোগ হইল। এ প্রদেশে ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মানী, ফুন্সি, হল্যাণ্ড ও আমেরিকার বন্দর ছিল। ঈহারা সকলেই এ। যুদ্ধে নির্লিপ্ত ; সুতবাং ইহার কেহই তঁহাদেব স্ব স্ব বন্দরে রুষ-জাহাজকে আশ্রয় দিতে অক্ষম। এরূপ করিলে স্পষ্টতঃ করুষকে যুদ্ধে সাহায্য কবা হয় । এ অবস্থায় জাপান যদি সন্ধির সর্তানুসারে ইংবাজের সাহায্য প্রার্থনা করেন, তাহা হইলে তখন ইংব্যাজেব না বলিবাব উপায় থাকিবে না । ইয়োবোপ ও আমেবিকা। এ জন্য বিশেষ চিন্তিত হইয়া উঠিলেন। রুষ-আড়ামিরাল তঁাহাব যাহা ইচ্ছা তাহা করিতেছেন,-কাহােবও কথায় কৰ্ণপাত কবিতেছেন না ! ইয়োবোপে যুদ্ধ হয় হউক, তিনি তাহাব জন্য বিন্দুমাত্ৰ চিন্তিত নহেন ! এরূপ লোক লইয়া সকলেই বিপদে পড়িলেন। এমন কি রুদ্ধ-সম্রাট ও তঁাহাব অমাত্যগণও এই রুষ-নৌসেনাপতিকে লইয়া বিপন্ন হইয়া উঠিলেন,-তিনি তঁাহাদেব कशांड७ काव डि0छन ना । আমেরিকা নীরব রহিলেন না। র্তাহারা স্পষ্টতঃ রুষকে জানাইলেন। যে রুষ-রণতরি যদি তাহদের ফিলিপাইন দ্বীপের কোন বন্দরে প্রবেশ কবে, তাহা হইলে তাহারা তাহদের উপর গোলা চালাইতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করিবেন না । হল্যাণ্ডও এই কথা বলিলেন। জাৰ্ম্মানী বরাবরই প্ৰায় প্রকাশ্যে রুষেবা প্ৰতি সহানুভূতি প্ৰকাশ কবিতেছিলেন। কেবল নিতান্ত সভ্যতার খাতিরে বেআইনি করিয়া তাহদের প্রকাশ্যে সাহায্য