পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সৈন্যদল। ১১১ যুদ্ধ-সজায় এমনই ব্যতিৰ্যন্ত হইয়া পড়িয়াছিল যে তাহারা অন্ততিত রহিল ;-কিছুই করিল না। ১৯শে মে কোরিয়া সমুদ্র তীরন্থ টাকুসান নামক বন্দয়ে আর এক দল জাপানী সেনা নামিল। সঙ্গে নানা যুদ্ধতরী,-“এই সকল যুদ্ধপোত হইতে গোলাবৃষ্টি হওয়ায়, রুষগণ বন্দর পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। তখন জাপানিগণ বন্দরে নামিয়া শিবির সন্নিবেশ করিল ; পূর্বের ন্যায় এবার আর তাহারা রুষ তাড়াইয়া আবার জাহাজে উঠিল না। সন্ধা ৭টার সময় জাপানিগণ দেখিল যে একদল কাসাক সৈন্য বন্দরের দিকে আসিতেছে। ইহা দেখিয়া জাপগণ নিরাপদে দুই দিক দিয়া তাহাদের ঘেরিয়া ফেলিল। তখন ঘোড়া ছুটাইয়া পলায়ন ব্যতিত আর “উপায় নাই দেখিয়া, রুষ-কসকগণ স্ব স্ব ঘোড়া ছুটাইয়া দিল। কিন্তু একজন সেনাধ্যক্ষ ও ৯ জন সেনা প্ৰাণ হারাইল,-অপরে কোন গতিকে প্ৰাণ লইয়া পলাইল। জাপানিদিগের কেবল একজন মাত্র এই ক্ষুদ্র যুদ্ধে প্ৰাণ হারাইয়াছিল। এ সকল যুদ্ধ নহে;-তবুও রুষগণ প্রতিপদেই হারিতেছে ও পশ্চাৎপদ হইতেছে দেখিয়া, জাপগণ উৎসাহে শত গুণ উত্তেজিত হইয়া উঠিভেছে। ‘রুষগণকে মহাবীর মহাযোদ্ধা বলিয়া তাহদের বিশ্বাস ছিল ; রুষকে অতি প্ৰবল পরাক্রান্ত শত্রু ভাবিয়া জাপগণ তাহাদিগকে বহুদিন হইতে মনে মনে ভয় করিত ;-সুতরাং প্ৰথমেই তাহারা এইরূপে রুষকে পদে পদে পুরাজিত করিতে পারিতেছে-ইহাতে যে তাহদের উৎসাহ শত গুণ বৃদ্ধি পাইবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ! এইরূপে সেনাপতি ওকু তাহার সৈন্যগণ নানা স্থানে নামাইয়া, ধীরে ধীরে পোর্ট আর্থারকে ঘেরিয়া ফেলিলেন। পোর্ট আর্থারের পশ্চাতস্থিত। রেল সম্পূর্ণ নষ্ট হইয়া গেল। সমুদ্রের এক তীয় হইতে জাপগণ অঙ্ক তীয় পৰ্যন্ত বিস্তৃত হইয়া, সমস্ত স্থান দুর্থে পরিণত করিতে লাগিল,-মার