পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপযোদ্ধার পত্ৰ । Y SS তাহাদেব আজ্ঞা 7lफ्नाब,-श्रृङ्गाभूप्श्व পতিত সেনাব শেষ বানাজাই ধবনি,- এই সমস্ত একত্রে মিলিত হইয়া কৰ্ণে প্ৰবেশ করিতেছে! যদি চক্ষু না থাকিত, তাহা হইলে এ সমস্তই এক ভয়াবহ স্বপ্ন বলিয়া বোধ হইত । কিন্তু এ স্বপ্ন নহে,-সকলই চক্ষেব উপব অভিনীত হইতেছে-সকলই ভীষণ ব্যাপাব । “সমস্ত দিনেব চেষ্টাতেও আমরা শত্রুদিগকে তাড়াইতে পাবিলাম না, আমাদের রেজিমেণ্টেব্য কৰ্ণেলও ( প্ৰধান সৈন্যাধ্যক্ষ ) আহত হইলেন ও আবও অনেকে হত্য ও আহত হইল । যখন অপরাপর সকলে এ কথা শুনিল, তখন তাহাবা কষ-দুর্গ অধিকাবের জন্য আবও দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ হইয়া উঠিল । তাহারা সকলেই বলিতে লাগিল যে যতক্ষণ জাপানেব জয় পতাকা বক্ষ-দুর্গের উপব উড়ডীযমান না হয়, ততক্ষণ তাহাবা কি জীবিত, কি মৃত, কি আহত, কিছুতেই যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে ফিবিবে না । বাত্রে কর্ণেল আমাদেব সকল সেনাধ্যক্ষগণকে নিকটে আহবান করিম বলিলেন, “যেৰূপেই হউক, কাল কাষ-দুর্গ অধিকার কবিতেই হইবে ; নতুবা অন্যান্য সেনাদল সম্বন্ধে আমাদেব যে কৰ্তব্য, তাহা আমাদেীপ সম্পন্ন, কবা হইবে না। যদি আমবা এ কাজ না কবিতে পাবি,-তখন মৃত্যুই আমাদেব একমাত্র অবলম্বন । আমবা এক্ষণে শক্ৰাদিগকে আক্রমণ কবিতে গমন করিব । আমি আশা কবি, আপনার সকলেই আমাব সহিত এ যাদ্ধক্ষেত্রে বীব শয়নে শায়িত হইবেন।” “আমরা সকলে সমস্ববে চীৎকার কবিয়া বলিলাম, “বানজাঁই ! হয যুদ্ধে জয়ী হইব, নতুবা যুদ্ধে প্ৰাণ দিব ।” তৎক্ষণাৎ আজ্ঞা প্ৰচারিত হইল,—“যে কোচ বিনা অনুমতিতে বন্দুক আওয়াজ কবিবে, সে গুরুতর রূপে দণ্ডিত হইবে।” “কেবল বেয়নেট চালাইবে।” “সেনাধ্যক্ষগণ শক্ৰগণেব সেনাধ্যক্ষগণকে আক্রমণ কবিবে।” “যুদ্ধ হইতে জীবিত ফিবিয়া আসিবার আশা রাখিও না।” ইত্যাদি, ইত্যাদি।