পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ、? ど রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । দিবে।” আর এক জন বলিতেছে, “তরি। বিদায় হই, নিশ্চয়ই সোকোনসাষ্টতে তোমাব সহিত দেখা হইবে।” ( যে সকল বীব মাতৃভূমির জন্য প্ৰাণ দেয় তাহার সমাধি-মন্দিবকে সোকোনসাই বলে । ) এইরূপ নানা কথা শুনিতে পাইলাম। আমি এই সকল বীবেব সম্মুখে পদচাবণ কবিতেছিলাম,-“এখনও আমাদের অগ্ৰবৰ্ত্তী হইবাব আজ্ঞা আসে নাই । “এই সময় কত কথা আমাব মনে হইতে লাগিল, তাহা আমি কিৰূপে বলিব । আমি এই মহাযুদ্ধেব প্ৰথম হইতে আছি,-প্ৰায় সমস্ত প্ৰধান প্ৰধান যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম,—তবুও আমি সুস্থ শৰীবে এখনও জীবিত, বহিয়াছি । কেবল তাহাই নহে, আমি আজ এই সকল বীবকে লইয়া কষদুর্গ অধিকাৰ কবিতে যাইতেছি,-এবাব নিশ্চিত মৃত্যু জানিয়াই আমবা অগ্রসর হইতেছে । কাল এই সময় আমি আর জীবিত রহিব না ! আমি ও ইহাস্থ চাই । দেশেব জন্য বুকে বা ব্যক্তি দেওয়া অপেক্ষা আর অধিক শৌরবের কাজ কি আছে । আমাব অপেক্ষ শত গুণ বীবপুত্র সকল আমার স্বদেশ জননী জন্মভূমির গর্ভে জন্মিবে,-সুতবাং আমাব ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণ দিতে আমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত নহি । আমাব দেশেব জন্য, স্বজাতিব জন্য, আমাদেব সম্রাটেব জন্য প্ৰাণ দিয়া আমি পরম পরিতুষ্ট হইব । নিশীথ রাত্রে বীরগণ তাহদের বড় বড় ওভার কোটি খুলিয়া ফেলিল । তাহাদেব বাম হন্তে একটা কবিয়া সাদা কাপড় বঁধিল,-ইহাতেই তাহারা কে তাহা সকলেই স্পষ্ট চিনিতে পাবিবে। উন্মুক্ত আসি। হস্তে সেনাধ্যক্ষগণ অগ্রসর হইলেন ; বন্দুকে বেয়নেট লাগাইয়া সেনাগণ চলিল। প্ৰথমে হাতগোলা লইয়া এক দল জাপ-যোদ্ধা চলিল, তাহার পর ছয় জন করিয়া এক এক দলে,-“এইকােপ সজ্জায় পদাতিকগণ আসিল,-তাহাদের মধ্যেও মাঝে মাঝে হাতগোলা সহ সেনা । আমরা বিকট চীৎকাবে রুষগণেব উপর পতিত হইলাম ! তাহাব পােব কি হইল তাহা বৰ্ণনা করিৰার ক্ষমতা আমার নাই ! আমরা অতি অল্প সংখ্যক মাত্ৰ যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে