পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। রুষেরা ইহাদের উপর গোলা চালাইতে লাগিল। একে একে বন্দরে উক্ত পাঁচখানি জাহাজ ডুবিয়া গেল। জাপানী ক্ষুদ্র রণতরী সকল তখন এই জলমগ্নপ্রায় জাহাজের উপর হইতে বীব যোদ্ধাগণকে নিজ মিজ জাহাজে তুলিয়া লইয়া, নিশ্চয়ই প্ৰাণ ভরিয়া হাসিতে হাসিতে পলাইল। যুদ্ধে এরূপ ব্যাপাব আব্ব কখনও দেখা যায় নাই। যখন রুষগণ জানিতে পারিল যে জাপগণ তাঁহাদেব চক্ষে ধূলি দিয়াছে,-জগতের সম্মুখে তাহাদেব হাস্যাম্পদ কবিয়াছে।--তখন তাহদের মনেব অবস্থা কি হইয়াছিল তাহা বলা যায় না। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে জাপানী পরিত্যক্ত জাহাজে তাহদের বন্দরেব মুখ একেবাবে রুদ্ধ হইয়া যায় নাই ;-তখনও জাহাজ বন্দব হইতে বাহিবে যাইবাবা উপায় ছিল। যাহা হউক পর দিবস জাপানিগণ রুষগণকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল। ২৫শে রাত্রি একটাৰ সময় জাপানী ডেসট্রিয়ব সকল পোর্ট আর্থাব, ডালনি ও পিজন বে এই তিন স্থান কিরূপে পাবে বিশেষ রূপে আক্রমণ করিতে পাবা যায়, তাহাই দেখিবার জন্য চারিদিক হইতে আক্রমণ কবিল। যাহাতে রুষগণ জাহাজগুলি চিনিতে না পারে,-সেইজন্য জাপানিগণ পাল তুলিয়া দিয়া অগ্রসর হইতেছিল ; কিন্তু রুষ রণতরী বেটভিসান পাহারায় ছিল। জাপানী চাতুরী বুঝিয়া তখনই সে গোলা চালাইতে আরম্ভ কবিল। পোর্ট আর্থার দুৰ্গও শতমুখে অগ্নি উদগীরণ করিতে লাগিল ; সুতবাং এই সকল ক্ষুদ্র জাপানী রণতরী সত্বর দূর সমুদ্রে গমন কবিতে বাধ্য হইল ; কিন্তু প্ৰাতে জাপানের সমস্ত রণতরী দুইদিক হইতে ভয়াবহ রূপে রুষ দুৰ্গ আক্রমণ করিল। এরূপ গোলাবৃষ্টি কেহ কখনও দেখেন নাই। যেখানে পড়িতেছে-তথায় আর কিছুই থাকিতেছে না। জাপানীব লক্ষ্য অব্যৰ্থ ; তাহদের সাহস দুৰ্দমনীয় ; তাহাদের হস্ত ও দেহ যেন লৌহে নিৰ্ম্মিত ;-তাহারা অব্যৰ্থ সন্ধানে পোর্ট আর্থারকে চূর্ণ করিতেছে। শত্ৰুগণও তাঁহাদের অতুলনীয় যুদ্ধকৌশল দেখিয়া তাহাদেব প্ৰশংসা না করিয়া থাকিতে পাবিতেছে না।