পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতক রুষ । ՀՀԳ জাম্মাণ ভাষায় তাহাকে বলিলাম, “তোমার কোন ভয় নাই!” এই পৰ্য্যন্ত আমাব ভাষা জ্ঞান। সৌভাগ্যেবা বিষয বালক আমাক জাৰ্ম্মাণ ভাষা বুঝিল,-বোধ হয সৈ জাতিতে পোল,—তাতাই জাম্মাণ জানে। তৃষ্ণাষ তাহাব প্ৰাণ যাইতেছিল । আমাব সঙ্গেব জলেব বোতলে তাহাব জল তৃষ্ণা মিটাল না, আমি আমাব সঙ্গের একজন কুলিব বোতল তাঙ্গাকে দিলাম। সে তাহাও প্ৰায নিঃশেষ কবিল ; তখন আমি কযেক খানা বিস্কুট তাহাকে আহাব কবিতে দিলাম। তাহাব দেশ কোথায, তাহাকে এ কথা জিজ্ঞাসা কবিবােব জন্য আমাৰ প্ৰাণ ব্যাকুল হইল, কিন্তু সে বড়ই দুর্বল,- তাহাকে এখন কোন কথা জিজ্ঞাসা কিবা কৰ্ত্তব্য নহে । আমি তাহাকে উৎসাহিত কবিবােব জন্য বলিলাম, “তোমাব ক্ষত কিছুই নয,—এখনই তোমায় জাপানী হাসপাতালে লইয৷ যাইবে। তুমি শীঘ্রই ভাল হইয়া দেশে মাইতে পাবিবে।” আমি বৰুষ-মৃতদেহ হইতে বড কোট ও কম্বল লইয়া তাহাকে যত্নে ঢাকিযা দিলাম,—এবং সঙ্গে সঙ্গে ভুলি আনিতে লোক পাঠাইলাম। এৰূপ আহত একজন নহে,-চাবিদিকে অসংখ্য । আমি আপবেব দিকে গমনে উদ্যত হইলে, সে কাতৰে বলিল, “সেনাপতি ! সেনাপতি ! একটু অপেক্ষা কবন। দযালুসেনাপতি ! এই বই খানি আমি আপনাকে উপহাব দিতে চাই। যখন আমি যুদ্ধেব জন্য বাড়ী হইতে বাহিব হই, সেই সমযে আমাব পিতা আমাকে এই বই খানি দিয়াছিলেন। মহাশয় ! হঁহাপেক্ষা মূল্যবান আব্ব কিছুই আপনাকে উপহাব দিবাব আমাব নাই। ইহাপেক্ষা মূল্যবান দ্রব্য জগতে আমাব দ্বিতীয় নাই।” আমি বই খানি নী ববে লইয়া তৎক্ষণাৎ তথা হইতে প্ৰস্থান কবিয়া অপর আহতেব নিকট চলিলাম। আমব চক্ষু জলে পূর্ণ হইয়া আসিল, কিন্তু আমি আমাদেব সেনা ও কুলিব সম্মুখে বিচলিত হইলাম না।” জাপগণ কত মহান, তাহা এই ক্ষুদ্র পত্রে বিশেষ অবগত হওয়া যায়। যে সকল ৰুষ জাপানিগণেব হন্তে পতিত হইল, তাহাদেব দুঃখ কষ্ট ঘুচিল,