পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষের আত্মসমপণ । NqNV9S

  • ৯ আমরা পুর্বেই বলিয়াছি যে এই রাত্রে কতকগুলি জাপ-ডেসট্ৰয়র রুৰীে পলাতক জাহাজগুলির অনুসন্ধানে ছুটিয়াছিল। তাহারারাত্রি দুই টার সন্তু দুই খানারুষ-জাহাজ দেখিতে পাইয়া তাড়া করিল। কিয়াৎক্ষণ যুদ্ধের পর তাহারা এক খানা রুষ-জাহাজ ডুবাইয়া দিল ; অপর খানি তাহাদের হাত এড়াইয়া পলাইল ! এক রাত্রে জাপানের ক্ষুদ্র রণপোত সকল রুবের বৃহৎ নৌবাহিনীর যে দুৰ্দশা করিল, তাহা বোধ হয়। আর কখনও কোন যুদ্ধে ঘটে নাই! রুষের সমস্ত যুদ্ধপোত ধ্বংস হইয়া গিয়াছে,—তাহদের আর কিছুই নাই ! এত পরিশ্রম, এত অর্থব্যয়, এত সাহস, বীরত্ব ও উদ্যম সমস্তই নষ্ট হইয়া গিয়াছে! এরূপ জলযুদ্ধ আর কখনও হয় নাই,--আর কখনও হইবারও সম্ভাবনা নাই !

দ্বিপঞ্চাশাৎ পরিচ্ছেদ । রুষের আত্মসমৰ্পণ । পরদিন ২৮ শে মে প্ৰাতঃকালে কি ঘটিয়াছিল, তাহা আমরা আডমিরাল টোগোর মুখেই শুনিব। তিনি লিখিয়াছেন ঃ-“২৮ শে ভোর ৫ টা কুড়ি মিনিটের সময় আমি আমাদের ক্রুজার জাহাজগুলিকে পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিম পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়া শত্ৰু-জাহাজের পথ রোধ করিতে প্রেরণ করিতেছিলাম, -এই সময়ে আমাদের যে সকল ক্রুজার-জাহাজ শত্ৰু-জাহাজ অনুসন্ধানে গিয়াছিল, তাহারা আমাকে তারশূন্য টেলিগ্রামে জানাইল যে পূর্বদিকে তাহারা অনেক শত্ৰু-জাহাজের ধূম দেখিতে পাইয়াছে। ইহারা