পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। প্ৰায় ৬০ মাইল দূরে আছে। কিয়ৎক্ষণ পাবে আমি আবার টেলি পাইলাম। তাহাতে জানিতে পারিলাম যে শত্রুব চারিখানি জাহাজ gy উত্তব্য দিকে যাইতেছে। শত্রুর সমস্ত জাহাজ গত রাত্রে ছোড়ভাঙ্গ গিয়াছিল, সুতবাং বুঝিতে পারিলাম যে এখন ইহাই তাহদের প্রধান দল। আব্ব তাহাদিগকে পলাইতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে বিবেচনা করিয়া, আমি অনতিবিলম্বে আমার সমভিব্যাহাৰী সমস্ত জাহাজ লইয়া শক্ৰব পথ বোধ কবিতে চলিলাম। কাপ্তেন টোগো ও সেনাপতি উরিউ উভয়ে তঁহাদেব জাহাজ লইয়া আমাদেব পশ্চাতে আসিলেন। এইরূপে বেলা সাড়ে দশটাব সময় আমাদেব জাহাজে এই চাবিখানি শত্ৰু-জাহাজ সম্পূর্ণ বেষ্টিত হইল। আমি দেখিলাম যে এই দলে ৫ খানি জাহাজ আছে ; আব্ব এক খানি জাহাজও দূরে দৃষ্টিগোচব হইল ; কিন্তু সে জাহাজ এই দলে না আসিযা দুব সমুদ্রে অদৃশ্য হইয়া গেল ! কষেব এই পাঁচ খানি জাহাজ গত দিবসেব যুদ্ধে প্ৰায় অৰ্দ্ধভগ্ন হইয়াছিল,—কিন্তু তাহারা তখনও বেশ যুদ্ধক্ষম ছিল। ইহারা সম্পূর্ণ যুদ্ধক্ষম থাকিলেওঁ । আমাদেব এত প্ৰবল যুদ্ধপোত সকলোব সহিত তাহদের যুদ্ধ কবিবাব সম্ভাবনা বিন্দুমাত্র ছিল না ! এই জন্য আমরা এই সকল শত্ৰজাহাজেব উপব গোলা চালাইতে আক্রাবন্ত কাবায় রুষ-জাহাজে শ্বেত পতাকা উডীয়মান হইল। তখন আমবা জানিতে পাবিলাম যে এই দলেব এক জাহাজে উপস্থিত নৌসেনাপতি আড়ামিরাল নিবোগাটফ বহিয়াছেন ; -তিনি এক্ষণে অনন্যেপায় হইয়া আত্মসমর্পণে প্ৰস্তুত। আমি তাহাব আত্মসমৰ্পণ গ্ৰহণ কবিলাম । তবে তঁাহাব ও তঁাহাব রুষ-যোদ্ধাগণেব অসম সাহসের জন্য আমি তাহাদেব সকলকেই অস্ত্র ধারণেব অনুমতি প্ৰদান কবিলাম।” জাপানিগণ এই পাঁচ খানি রুষ-যুদ্ধপোত বাজেয়াপ্ত করিয়া লইয়া জাপানের সুসিবো বন্দবে প্রেরণ কবিলেন। যে জাহাজ খানি দূব দিয়া