পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। 86 চালাইল্প দিলেন। তাহার পর যাহা ঘটিল, তাহার বর্ণনা হয় না। রুষ ও জাপান জাহাজ প্ৰায় পরস্পরে সংঘর্ষিত হইয়া গেল। প্ৰায় হাতাহাতি যুদ্ধ চলিতে লাগিল। ক্রমাগত উভয় পক্ষে গোলার উপর গোল 射 করিতে লাগিলেন ;-উভয় পক্ষেরই জাহাজ খণ্ড বিখণ্ডিত হইয়া গেল ;-ইঞ্জিন, কল, কারখানা সকলই চুৰ্ণ বিচুর্ণ হইল। উভর পক্ষের জাহাজ এতই নিকটস্থ ইয়া যুদ্ধ চলিতেছিল যে একজন জাপানী লম্বন্ধ দিয়া রুষ জাহাজে গিয়া সেই জাহাজের কাপ্তেনের শিরশেছদ করিয়া আবার নিজ জাহাজে আসিতে সক্ষম হইয়াছিল। এরূপ ভয়াবহ রক্তারক্তি কাণ্ড এ পৰ্য্যন্ত আর রুষ-জাপান যুদ্ধে সমাহিত হয় নাই। তিনখানি জাপানী জাহাজের নিকট ছয়খানি রুষ জাহাজ পাবাজিত হইল। দুইখানি প্ৰথমেই বন্দরে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছিল,-আর চারি খানিও কিয়ৎক্ষণ পরে যুদ্ধ করিতে করিতে অবশেষে বন্দর মধ্যে আসিয়া প্ৰাণ রক্ষা করিল ; তখন জাপানী জাহাজগণ দূর সমুদ্রে চলিয়া গেল। তাহারাও ক্ষত বিক্ষত হইয়া ছিল ; কিন্তু একেবারে ধ্বংসীভূত স্ময় নাই। চারি দিনের মধ্যে আড়মিবাল টোগো এই তিনখানি জাহাজ মেরামত করিয়া ঠিক নূতন করিয়া ফেলিয়াছিলেন। এই ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে, তখন বেলা ৭টা,- এই সময়ে জাপানী যুদ্ধ-জাহাজের দ্বিতীয় দল পোর্ট আর্থার বন্দরের অন্য দিকে সর্বনেশে মৃত্যুযন্ত্র “মাইন” সকল স্থাপিত করিয়া, স্বীকাৰ্য সাধন হইয়াছে দেখিয়া, চলিয়া যাইতেছিল, কিন্তু এই সময়ে তাহারা দুরে দুই খানি রুষ রণতরী দেখিতে পাইল । রুষেরাও তাহাদিগকে দেখিতে পাইয়া প্ৰাণপণ বেগে বন্দরে আশ্ৰয় লইবার জন্য পলাইতেছিল ; কিন্তু জাপানী জাহাজ তাহদের অপেক্ষা অনেক গুণ দ্রুতগামী ছিল ৷ তেজন্য রুষগণ পলাইতে পারিল না। ;-জাপানী জাহাজ তাহদের উপর আসিয়া পড়িল ; -তখন আবার ভয়াবহ যুদ্ধ আরম্ভ হইল। আবার সেই হাতাহাতি যুদ্ধ,-