পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। চালাইতে পারিতেছেন না দেখিয়া তাহারা প্ৰকৃতই হাত কামড়াইতে লাগিলেন ; তবুও তঁাহারা জাপানী ক্রুজার জাহাজের উপর গোলা চালাই৬ে ছিলেন,-কিন্তু ধূৰ্ত্ত জাপানিগণ তাহদের জাহাজ রুষ নিক্ষিপ্ত গোলার বাহিরে স্থাপিত রাখিয়াছিল ; সুতরাং রুষের একটী গোলাও তাহদের অঙ্গস্পর্শ করিল না ; সমুদ্রে পড়িয়া সমুদ্র তোলপাড় করিয়া তুলিল। রুষ যুদ্ধ-জাহাজগুলি বাহির হইয়া জাপানী জাহাজ আক্রমণ করিল না কেন ? তাহাব ও বিশেষ কারণ ছিল। জাহাজগুলি এক্ষণে সম্পূর্ণ মেবামত হয় নাই ; তাহার উপব বন্দরের নাহিরে জাপানিগণ “মাইন” ছড়াইয়া দিয়াছে। এই ভয়াবহ একটী “মাইনের” সহিত কোন জাহাজ সংঘর্ষিত হইলে কি সৰ্ব্বনাশ হয়, তাহা আমরা পূর্বেই দেখিয়াছি। এক্ষণে বন্দর হইতে বাহির হইতে হইলে, এই সকল “মাইন” দেখিয়া অতি সন্তৰ্পণে বাহির হইতে হইবে । অপবতঃ দুর্গেব গোলার বাহিরে গিয়া স্বাধীনভাবে সমস্ত জাপানী রণপোতেব সহিত যুদ্ধ করিবাব শক্তি রুষেব ছিল না। ;-তাহাই রুষ 'যুদ্ধপোত সকল বন্দরের মধ্যে থাকিয়া মধ্যে মধ্যে গোলা চালাইতে লাগিল ; কিন্তু জাপানী যুদ্ধ-কৌশলের সহিত তাহারা আঁটিয়া উঠিতে পারিল না। তাহারা জাপানী জাহাজেব কোন রূপে কোন অনিষ্ট সাধিত করিতে সক্ষম হইল না ! V আর পোর্ট আর্থার দুর্গে জাপানী গোলায় কি হইতেছিল ? ১২ ইঞ্চি কামানের একটী গোলা ওজনে ১০ মণের অধিক ; ইহা যেখানে পতিত হয়, সেখানে ইহা সহস্ৰ সহস্র খণ্ডে বিভক্ত হইয়াতীর বেগে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। এই সকল গোলার ক্ষুদ্রাংশের একটি দেহে লাগিলে মৃত্যু নিশ্চিত ! আর যেখানে এই ভয়াবহ ১০ মণ ওজনের গোলা পতিত হয়, সেখানে যে সকলই চুৰ্ণ বিচুর্ণ হইয়া যায়, কিছু থাকে না, তাহা বলা বাহুল্য মাত্ৰ ! এইরূপ শত শত গোলা পোর্ট আর্থার দুর্গ ও বন্দরের জাহাজের উপর পতিত হইতে ছিল, সুতবাং দুর্গে ও বন্দরে রুষ রণপোতের যে কি