পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। 8 সৰ্ব্বনাশ সাধিত হইতেছিল, তাহ বলা নিম্প্রয়োজন। রুষের রেডভিসান জাহাজের উপর এইরূপ একটী গোলা পতিত হইয়া নিমেষে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটিল। একখানি রুষ জাহাজে আর একটী গোলা পতিত छ्७, ख्ञ७४० ७2ङ्काळिङ छ्छेन खेलैिल। ইহাতে ৮৮ জনের भूठ्ठा ঘটিল। রুষ হাসপাতাল-জাহাজ মোঙ্গলিয়ানে একটী গোলা পতিত হইয়া, ছয় জনকে হত্যা করিল। সিবাসটপুল জাহাজ জাপানী দুই গোলায় খণ্ড বিখণ্ড হইয়া গিয়াছিল;-বন্দরের অট্টালিকাদিও চুণীকৃত হইয়া ছিল। সহবেও কিছু আন্ত ছিল না। ;-অনেক অট্টালিকা চুৰ্ণ হইয়াগিয়াছিল ; অনেক অট্টালিকায় আগুণ লাগিয়াছিল। অনেক নিরপরাধী হতভাগ্যও এই গোলা বৃষ্টিতে প্ৰাণ হারাইয়াছিল। এক স্থানে দাড়াইয়া কতকগুলি লোক এই যুদ্ধ দেখিতেছিল। সহসা তাহদের মধ্যে এক জাপানী গোলা পতিত হওয়ায়, নিমেষে তাহদের ২৫ জন হত হয় । তিনজন কেরাণী আফিস হইতে গৃহে ফিরিতেছিল ;-সহসা পথিমধ্যে জাপানী গোলা পতিত হইয়া ইহাদিগকে খণ্ড বিখণ্ড করিয়া ফেলিয়াছিল। সেনাধ্যক্ষ ব্যারণ ফ্রাঙ্কের স্ত্রী একটী গোলার ক্ষুদ্রাংশে আঘাতিত হইয়া তৎক্ষণাৎ প্ৰাণ হারাইয়াছিলেন। সিডোরসকি নামে একজন উকিলও এই সময়ে হত হন। আর কত লোক যে হত আহত হইয়াছিলেন, তাহার সংখ্যা হয় না। জেনারেল ষ্টসেল প্ৰাণে প্ৰাণে সদলে বাচিয়া গিয়াছিলেন। আডুমিরাল মাকারিফ ও রুষ যোদ্ধাগণ যথাসাধ্য যুদ্ধ করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু তাহারা জাপানিগণেব বিন্দুমাত্ৰ অনিষ্টসাধন করিতে পারিলেন না। জাপানিদিগের্ব কয়েকখানা ক্রুজাব জাহাজ এদিক সেদিকের অনেক অট্টালিকা চুৰ্ণ করিয়া দিল। এইরূপে বেলা ২টা পৰ্য্যন্ত টোগো রুষ দুর্গ ও বন্দরের উপর গোলা চালাইলেন। বেলা ২টার সময় তিনি একেবারে গোলা বন্ধ করিলেন ; তৎপবে সমস্ত জাপান-যুদ্ধপোত hোর্ট আর্থার ত্যাগ করিয়া ধীরে ধীরে দূর সমুদ্রে অন্তহিত হইয়া গেল !