পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qo রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । ব্যতীত আর অধিক কিছুই ঘটিল না। উভয় পক্ষই মহাযুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন। সকলেই বুঝিলেন যে এ যুদ্ধের আর অধিক বিলৰ নাই। শত শত সংবাদ পত্রের সংবাদদাতা এই মহাযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের জন্য দূর জুলু নদীর তীরে আসিয়া সমবেত হইলেন। পৃথিবীর এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্ব দেশের সকলে এই মহাযুদ্ধের জন্য উৎসুক হইয়া রহিলেন। সকলেই বলিতে লাগিলেন, ‘রুষ জলযুদ্ধে কখনই প্ৰবল নহে; পৃথিবীতে স্থলযুদ্ধে তাহদের সমকক্ষ আর কেহই নাই। যাহারা ঘোর প্লেবনার যুদ্ধে দেড় লক্ষ সুসভ্য তুর্ককে পরাজিত করিয়াছে, ক্ষুদ্র জাপান কি তাহদের সহিত লড়িয়া কখনও জয়ের আশা করিতে পারে ?” সকলই ভগবানের হাত । চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ। পোর্ট আর্থার । জুলু নদীর তীরে রুষ জাপান উভয়েই যুদ্ধ সজ্জা করিতেছেন ; শীঘ্রই মহাযুদ্ধ হইবে ; তাহ বলিয়া সমুদ্রে আড়ামিরাল টােগোও নিশ্চিন্ত নাই। ১০ই মার্চ তাবিখে তিনি যে কিরূপ ভয়াবহ ভাবে পোর্ট আর্থার বোম্বার্ট করিয়াছিলেন, তাহা আমরা বলিয়াছি। তাহার পর প্রায় এক সপ্তাহের আঁধিক তিনি রুষ দুর্গের সম্মুখে দৰ্শন দিলেন না ; নিশ্চয়ই তাহার জাহাজ গুলির ষে যে খানির মেরামত আবশ্যক, তিনি জাপান বন্দরে গিয়া তাহারই ৰন্দোবস্ত করিতেছিলেন । এ দিকে রুষ নৌ-সেনাপতি মাকারফও রূৰ্য 'জাহাজগুলিকে মেরামত করিয়া কাৰ্যক্ষমা করিবার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। দুৰ্গস্থ সকলেই অতি সতর্ক রহিলেন। দুর্গের উপর হুইটী সার্চ লাইট বা উজ্জল আলোক সমুদ্রেয় চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হইতে