পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
রূপসী বোম্বেটে

 মিঃ ব্লেক পর দিন সাল্‌ভেরিটার নব-নির্ব্বাচিত সভাপতি সিনর মাটিনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চলিলেন।—যে জেলে মাছ ধরিতে গিয়া বোম্বেটেদের কাণ্ড দেখিয়াছিল, মিঃ ব্লেক সিনর মার্টিনার নিকট তাহার নাম জানিতে পারিলেন। তিনি উক্ত জেলের সহিত আলাপ করিয়া একটি নূতন তথ্য অবগত হইলেন। জেলে যে জাহাজখানা দেখিয়াছিল—সেই জাহাজখানির মত একখানি জাহাজ কয়েক সপ্তাহ পূর্ব্বে পোর্টো কষ্টার বন্দরে নঙ্গর করিয়াছিল।

 মিঃ ব্লেক জেলের নিকট হইতে ফিরিয়া পুনর্ব্বার সিনর মার্টিনার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, তাঁহাকে বলিলেন, “শুনিলাম কয়েক সপ্তাহ পূর্ব্বে আপনাদের বন্দরে একখানি বিদেশী জাহাজ আসিয়াছিল; সে জাহাজখানি কাহার, সংবাদ রাখেন কি?”

 সিনর মার্টিনা বলিলেন, “হাঁ, কয়েক সপ্তাহ পূর্ব্বে একখানি নূতন ধরণের জাহাজ আসিয়াছিল বটে। জাহাজের মালিকের নাম মিঃ গ্র্যাণ্ট, ভয়ানক পয়সাওয়ালা লোক; সঙ্গে তাঁর এক ভাগিনেয়ী, অপূর্ব্ব সুন্দরী! তাহারা অনেক বড় লোকের নিকট হইতে পরিচয়পত্র আনিয়াছিলেন; তাহা দেখিয়া এখানে আমরা তাঁহাদের খুব আদর যত্ন করিয়াছিলাম। তাঁহারা এখানে কয়েক দিন বেশ আমোদে কাটাইয়া গিয়াছেন।”

 মিঃ ব্লেক বলিলেন, “মামা? তার সঙ্গে সুন্দরী ভাগিনেয়ী! যুবতীর কি নাম, স্মরণ আছে?”

 সিনর মার্টিনা বলিলেন, “হাঁ, স্মরণ আছে বৈ কি! যুবতীর নাম কুমারী কার্স টন। এমন সুন্দরী সচরাচর দেখা যায় না।”

 মিঃ ব্লেক বলিলেন, “কুমারী কার্স টন? তাহারা যে জাহাজে আসিয়াছিল? সেই জাহাজখানার নাম স্মরণ হয় কি?”