পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
রূপসী বোম্বেটে

স্মিথ বলিল, “আপনার প্রস্তাব অসঙ্গত মনে হয় না; আশা করি মিঃ ব্লেকের ইহাতে আপত্তি হইবে না।”

 সিনর মেন্‌ডোজা জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখান হইতে কবে যাত্রা করা তোমার ইচ্ছা?”

 স্মিথ বলিল, “মিঃ ব্লেকের উপদেশানুসারেই কাজ করিতে হইবে। তাঁহাকে সুভায় টেলিগ্রাম করিয়া আজ রাত্রেই চেয়ারিং-ক্রশ ষ্টেশনে ট্রেণে চাপিব।”

 সিনর মেন্‌ডোজা বলিলেন, “বেশ কথা। আমিও আমার কন্যাকে লইয়া আজই যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইব। তুমি রাত্রে এখানে আসিয়া আহারাদি করিবে; তাহার পর তিনজনে একত্র যাইব।”

 স্মিথ উঠিয়া বলিল, “ধন্যবাদ মহাশয়; আপনার যেরূপ অভিপ্রায়, তাহাই হইবে।”

 স্মিথ সিনর মেন্‌ডোজার নিকট বিদায় লইয়া মিঃ ব্লেকের নিকট টেলিগ্রাম করিতে চলিল।—সে দিন সে অনেকটা নিশ্চিন্ত হইল।

  *  *  *  *

 সেইদিন রাত্রে স্মিথ, সিনর মেন্‌ডোজা ও তাঁহার কন্যা কারমেন্‌ তিনজনে সৈয়দ বন্দরে যাত্রা করিকার জন্য চেয়ারিং-ক্রশ ষ্টেশনে ট্রেণে চাপিলেন।

 যথাসময়ে সকলে সৈয়দ বন্দরে উপস্থিত হইলেন।—স্মিথ সেখানে মেলবোণ নগর হইতে মিঃ ব্লেকের এক সুদীর্ঘ টেলিগ্রাম পাইল। স্মিথ যে আটলাণ্টিক সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হইয়া নিশ্চয়-মৃত্যুর কবল হইতে উদ্ধার লাভ করিয়াছে, এ সংবাদে মিঃ ব্লেক যৎপরোনাস্তি আনন্দ প্রকাশ করিয়া জানাইয়াছিলেন, তিনি বোম্বেটে জাহাজের সন্ধানে হংকং অভিমুখে যাত্রা করিলেন। তনি স্মিথকে অবিলম্বে তাঁহার