পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রূপসী বোম্বেটে
৪১

এমন কৌশলে টাকাগুলি সরাইতে চাই, যেন কেহই আমাদের কার্য্যের কোনও প্রমাণ না পায়। আমাকে ত সন্দেহ করিতে পারিবেই না; তোমার উপরেও পুলিশের সন্দেহ হইবে না।”

 রাইমার হাসিয়া বলিল, “পুলিশ সন্দেহ করিতে পারিলে আর বাহাদুরী কি?”

 আমেলিয়া বলিলেন, “এখন কি করিতে হইবে শোন। আমি কেবল টাকাগুলি সরাইয়াই ক্ষান্ত হইব না; টাকার সঙ্গে সঙ্গে। প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনকেও আমি ধরিয়া লইয়া যাইতে চাই। টাকার সঙ্গে যদি প্রেসিডেণ্টকে পর্যন্ত সরাইতে পারা যায়,—তাহা হইলে সকলেই মনে করিবে প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন টাকাগুলি চুরি করিয়া ফেরার হইয়াছে। তখন গবর্মেণ্ট প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনের সন্ধানেই ব্যস্ত হইবে, আমাদের দিকে তাহাদের লক্ষ্য থাকিবে না। কিন্তু কেবল এইজন্যই যে আমি প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনকে চুরী করিতে উদ্যত হইয়াছি, এরূপ মনে করিও না; টাকাগুলিতে আমার যেমন দরকার, তাহাকেও ঠিক সেই রকম দরকার। প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনের উপর আমার ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে; তাহাকে কীটের ন্যায় পদদলিত করিতে না পারিলে আমার মন স্থির হইবে না।”

 রাইমার বলিল, “আশ্চর্য্য, অতিআশ্চর্য্য! আমি যতই আপনার সাহস ও বুদ্ধি-নৈপুণ্যের পরিচয় পাইতেছি, ততই আমার বিস্ময় উত্তরোত্তর বর্দ্ধিত হইতেছে। যাহা হউক, প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনের উপর আপনার স্বাক্রোশের কারণ জানিতে পারি কি?”

 আমেলিয়া বলিলেন, “এ কথা তোমার জানিবার কোনও আবশ্যক নাই। আগামী কল্য আ্মরা এই বন্দর পরিত্যাগ করিব, এবং টাকাগুলি যত দিন এখানে না আসে, তত দিন কিছু দূরে থাকিব। আমার