উপর নিক্ষিপ্ত হইয়াছিলেন, তাঁহার মস্তক সবেগে প্রাচীর-গাত্রে নিপতিত হইয়াছিল; সেই আঘাতে তিনি মূর্চ্ছিত হন।
সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তিনি দ্বারপ্রান্তে নিপতিত ছিলেন। রাইমার তাঁহাকে সরাইয়া তাঁহার হাত পা দৃঢ়রূপে রজ্জুবদ্ধ করিল।
আমেলিয়া সেই কক্ষে প্রবেশ করিয়া রাইমারকে বলিলেন, “আজ তুমি কাজে খুব দক্ষতা দেখাইয়াছ। তোমার উপর বড় সন্তুষ্ট হইয়াছি।—কিন্তু আর বিলম্ব করিয়া কাজ নাই, আগে পিয়ারসনকে বন্দী কর।”
পিয়ারসন তখন তাঁহার সুকোমল শুভ্র শয্যায়—গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত; কানের কাছে ঢাক কাজাইলেও বোধ হয় সে নিদ্রা ভাঙ্গে না!—রাইমার তিনজন বোম্বেটেকে সঙ্গে লইয়া পিয়ারসনের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিল।
এক প্রান্তে একখানি টেবিলের উপর মিট্মিট্ করিয়া একটা বাতি জ্বলিতেছিল, তাহার অস্ফুট আলোকে রাইমার প্রেসিডেণ্টকে অদূরবর্ত্তী খট্টায় নিদ্রিত দেখিল।
পিয়ারসন হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গে দেখিতে পাইলেন, চারি জন লোক তাঁহার মুখ ও হাত পা বাঁধিয়া ফেলিয়াছে!
পিয়ারসনের উঠিবার শক্তি রহিল না; চক্ষু খোলা ছিল, তিনি বিস্ফারিত নেত্রে আততায়ীগণের কাজ দেখিতে লাগিলেন।
বোম্বেটেরা তাঁহাকে কাঁধে তুলিয়া লইল; তাঁহার পরিত্যক্ত পরিচ্ছদটাও সঙ্গে লইতে ভুলিল না।
বোম্বেটেদের কাঁধে উঠিয়া পিয়ারসন একবার লম্ফঝম্ফের চেষ্টা করিলেন, কিন্তু একজন বোম্বেটে তাঁহার হাতে ‘জিযুৎসু’র এমন এক