পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
রূপসী বোম্বেটে

পিয়ারসন টাকা চুরী করেন নাই। স্বেচ্ছায় তিনি দেশত্যাগী হন নাই।

 “তাহার পর কথা,—আপনি অত্যন্ত ব্যগ্রভাবে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন; যদি আপনি মিঃ পিয়ারসনকে অপরাধী মনে করিতেন, তাহা হইলে কি গোপনে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন? না, আপনি নিশ্চয়ই ইউরোপের সকল রাজধানীর পুলিসের সাহায্য প্রার্থনা করিতেন। হয় ত ইতিমধ্যেই সাল্‌ভেরিটা রাজ্যের গবমেণ্ট ইউরোপের ও আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশে এ সংবাদ দিয়াছেন। কিন্তু আপনি মনে করিয়াছেন, ভিতরে কোনও পূঢ় রহস্য আছে, প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনকে টাকা সমেত কেহ বাঁধিয়া লইয়া গিয়াছে;—তাই আপনি আমার সাহায্য লাভের আশায় আসিয়াছেন। আপনি বুঝিতে পারিয়াছেন, সাধারণ পুলিশের সাধ্য নাই—এই রহস্য ভেদ করে।”

 সিনর মেন্‌ডোজা বলিলেন, “আপনার অনুমান যথার্থ। আপনার অদ্ভুত ক্ষমতা আপনি আমাকে দেখিবামাত্র চট্‌ করিয়া, আমার মনের ভাব বুঝিয়া ফেলিয়াছেন। অন্য কোনও লোক ইহা পারিত কি না সন্দেহ। আপনার ক্ষমতা সম্বন্ধে পূর্ব্বাপর যে সকল গল্প শুনিয়াছি, তাহা হইতে কুঝিয়াছি আপনি অসাধারণ ব্যক্তি; সেই জন্যই আপনার সাহায্য লাভের আশায় আসিয়াছি। পিয়ারসন নিশ্চয়ই সম্পূর্ণ নিরপরাধ, তিনি টাকা চুরী করিয়া পলায়ন করেন নাই। মানুষ অভাবে পড়িয়া চুরী করে লোভে পড়িয়া চুরী করে; তিনি কি জন্য এ টাকা চুরী করিবেন?—পিয়ারসনের নিরুদ্দেশের কথা শুনিয়া আমার প্রাণাধিকা কন্যা শয্যা গ্রহণ করিয়াছে; ‘তাহার মুখ দেখিয়া আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে। মিঃ