পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W . জন্মান্তর-বাদ । এ গুলি অতি পুরাতন যুক্তি। কিন্তু ইহা ছাড়া কি গতজীবনের সাক্ষ্য দিতে আমার মধ্যে কিছু নাই ! এই যে কত শত কৃমি-কীট-জন্ম পার হইয়া মনুষ্য-জন্ম লাভ করিয়াছি, তাহার সাক্ষ্য দিতে মনের প্রত্যক্ষীভূত-স্মৃতি-অনুমোদিত প্রমাণ কি নাই ? প্রত্যেক মনুষ্যের মধ্যে পশুভাবটুকু অল্প বেশি বিদ্যমান আছে। ব্র্যান্ত্রের মত মাংস-লোলুপতা, হস্তীর দ্যায় মদোন্মত্ততা, বৃশ্চিকের ন্যায় দংশনেচ্ছ, শৃগালের ন্যায় ধূৰ্ত্ততা—কাহার মধ্যে নাই বল দেখি ? অরণ্যের যত পশু, সবগুলি মনুষ্য-মনে বিদ্যমান । যিনি যত বেশি জন্ম পার হইয়াছেন, তাহার পশুভাব তত হ্রাস হইতেছে। কোন পশু হইতে ব্যক্তি-বিশেষের অবতরণ হইয়াছে, তাহা, তাহার মনে কোন পশু-ভাব বেশি, পৰ্য্যালোচনা করিলে বুঝা যাইবে । যাহার দংশনেচ্ছা বেশি, সে বৃশ্চিকাদি হইতে, যাহার মাংসলোলুপতা বেশি, সে ব্যাঘ্ৰাদি হইতে মনুষ্য-জন্মে আসিয়াছে—এরূপ অনুমান করিলে বোধ হয় দোষ হয় না । এই বিশ্বরাজ্য শিক্ষার স্থল—বিশাল স্কুলগৃহ! এখানে প্রত্যেক জীবনই উত্তরোত্তর উন্নতির জন্ত স্বঃ, শাসিত ও শিক্ষিত হইতেছে। তবে প্রতি জীবনে যে শিক্ষা হয়, তাহ অতি যৎসামান্ত । একজন মনুষ্য যে ৫০ । ৬০ বৎসর জীবিত থাকে, অনন্ত জীবনের তুলনায় তাহ অতি তুচ্ছ, যৎসামান্ত। এই অল্প সময়েও ভগবান প্রত্যেককে কিছু কিছু শিক্ষা দিতেছেন—অনন্তবার জন্ম পরিগ্রহ করিয়া জীবসমুদয় শিক্ষা-লাভ করিতেছে। 'সৰ্ব্বত্র তাহার শিক্ষ-স্থল—যে স্থানকে তুমি নিতান্ত ঘৃণিত, জঘন্ত ও । ঈশ্বরের নিগৃহীত স্থান বলির মনে ভাব, সেইস্থানেই তাহার