পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেখা । ২৩ the earth, books like this cannot be useless.”— বলিয়া গৰ্ব্ব করিয়াছেন । “রচিব মধুচক্র, গৌড়জন যাহে, আনন্দে করিবে পান সুধা নিরবধি "–মাইকেল মধুস্থদনের উক্তি । কিন্তু, যিনি বিশ্বের সহিত এক হইয়া গিয়াছেন, তাহার আমি নাই—তিনি বিশ্বের দ্যায় বিবাট । তাই ব্যাস-বাল্মীকি সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । তারারত্ন-ভূষিত আকাশ–যেন প্রস্ট শতদল, এই বল্লরী, ওই মাধবীলতা, ওই বিচিত্র-বর্ণখচিত রামধনু, নীল-তরঙ্গ-ক্ষেপচঞ্চল গঙ্গাধারা, বিমানস্পর্শী বীরত্ব, প্রতিজ্ঞার ভীষ্ম, কৰ্ত্তব্যের জীবন্ত রাম-মূৰ্ত্তি, পাপের ভীষণ রাবণদস্থ্য, কুটচত্রী শকুনি, ইন্দ্ৰিয়-বিমূঢ় পারিস, ইলিয়াডের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা একিলিস, বন্ধুত্বের উজ্জ্বল পেট্রোক্লাস-ছবি, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, শত শত উজ্জ্বল কীৰ্ত্তি-মঠ,—প্রাচীন পৃথিবীর এই নিদর্শন গুলি, কালতরঙ্গে ভাসিতে ভাসিতে উনবিংশ শতাব্দীর তীরে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। এস, আমরা এই প্রাচীন বাক্স হইতে রত্নগুলি খুজিয়া লই। প্রাচীন পৃথিবীর ইহা ছাড়া কিছু থাকিত কি ? প্রাচীন তপস্যার ফল ইহাই । ইহার বর্তমান-অতীতে সখ্যস্থাপন করাইয়াছে ; ইহারা মনুষ্য-জাতির গৌরব বুঝাইতেছে ; ইহার না থাকিলে বর্তমান নিশ্চল হইত, পৃথিবী জড় হইত, ভবিষ্যৎ থাকিত না । মনুষ্যাত্মা অমর, ইহা পড়িয়া ভাছার পরিচয় পাই । অতীতে ইহারা মনুষ্যাত্মার অস্তিত্বের সাক্ষী, বর্তমানে ইহার মনুষ্যাঁয়ার শক্তি, ভবিষ্যতে ইহারা মনুষ্যাত্মার অস্তিত্বের উন্নতির আশাদায়ী। ইমার্সন বলিয়াছেন,— ইহারা আন্তর্জাগতিক টেলিফোন ; সময়ের অসীম দূরত্ব লুপ্ত করাইয়া, ইহাদের বলে