পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেখা । Տ)Գ বর্ণনা করিয়া, পুথি শেষ করিলে হয় না। ইলিয়াড নির্দোষ মহাকাব্য, যুরোপে এ সিদ্ধান্ত প্রমাণীকৃত। কিন্তু রামায়ণ, মহাভারত, তাহারা পূৰ্ব্বে দেখেন নাই—ইনিশ, ইলিয়াড, ওডেসি, এই তিন গ্রন্থই তাহদের মহাকাব্যের নমুনা । জাতীয় জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সৰ্ব্ববিবরণ অঙ্কিত করিতে যাইলে, লোক-উপাস্ত্য চরিত্র গঠন করিতে হইলে, এক বীরকে যুদ্ধক্ষেত্রে আনিয়া—তাহার মুখে বৃষের হুহুঙ্কার শুনাইলে ও তাহাকে দিয়া পশুবৎ ব্যবহার করাইলে, যে মহাকাব্য হইল, এরূপ বলিতে পারি না । মহাকাব্য বিশ্বের বিশাল চিত্রপট— তাহাতে পুণ্য স্বরের সহিত পাপ অমুরের দ্বন্দ্ব অঙ্কিত করিয়া দেখাইতে হইবে । সেই বিশাল পটের ভিত্তি ধরিত্রী, কিন্তু লক্ষ্য স্বর্গ। কবি রামায়ণ-রূপ যুগযুগ-স্থায়ী অক্ষয় ধৰ্ম্ম-মন্দির স্থাপন করিবেন, পবিত্রতা অমর অক্ষরে বাধিয়া রাথিবেন ; তাহার সম্মুখে সমুদ্রবৎ মহাকাৰ্য্য, রত্নাকর অক্ষয় রত্ন সঞ্চয় করিবেন ; তাই নারদকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“বল মুনি, সৰ্ব্বভূতের হিতে রত কে ? বদান্ত কে ? বিষ্ণুর সদৃশ বীৰ্য্যশালী ও সোমবৎ প্রিয়দর্শন কে ? মৃদুতায় মলয়সমীরণ-নীতা বল্লরীবৎ কে ? জিতক্রোধ ও আত্মবান কে ? চরিত্রযুক্ত ও ছাতিমান কোন বীর ?” দেখিলে, কবির দৃষ্টি কোথায় ? ঋষি আদর্শ-পুরুষ অন্ধন করিয়া জগতের পূজনীয় করিবেন—এই পৃথিবী-ক্ষেত্র তাহার রঙ্গমঞ্চ, কিন্তু স্বশস্তের বীজ তিনি স্বর্গ হইতে আহরণ করিতেছেন । রামারণের প্রাক-ধ্বনি—মূলগ্রন্থজ্ঞাপক। এরূপ উৎকৃষ্ট প্রারম্ভ আর পৃথিবীর কোন গ্রন্থে নাই । যখন রাবণ ভ্রমর কৃষ্ণ-কুঞ্চিত-কেশ, সরনীরে মরাল-সল্পী 8