পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭b- বঙ্গে ভক্তি । সহনক্ষম দৃঢ়ত-প্রেমের জন্য । এই ভক্তি, এই প্রেমই চৈতন্যদেব দেখাইয়া গিয়াছেন । চৈতন্তের জীবন বাঙ্গালীর শুভ-দিকের ইতিহাস । চৈতন্তে যে উৎকৃষ্ট গুণ নাই, বাঙ্গালীতে তাহা নাই । তাই সে গুণ অনুকরণ করিতে গিয়াছিলাম। মনে হইতেছিল, বিশ্ব কপাট খুলিয়া এক শ্ৰীমূৰ্ত্তি দেখাইয়াছিল, তাহার নীল বপু বিনোদ দেখিয়া চিত্ত উল্লাসিত হইয়াছিল, সেই শোভান্বিত পদ্ম দেখিয়া মন ভ্রমর হইয়া গুঞ্জন করিতে চাহিয়াছিল, কোকিল হইয়া পঞ্চমে ঝঙ্কার দিতে চাহিয়াছিল, তাহার হাস্তময় আনন-শ্ৰী দশন করিয়া মনে হইয়াছিল, নীলপক্ষী হইয়া বিমানে উড়িয়া যাই, যে রূপ দেখিয়াছিলাম, একবার কণ্ঠস্বরে তাহ। রাগিণী বাধিয়। আলাপ করি। কত সুরই কণ্ঠে উঠিল, কিন্তু রাগিণী হইল না । সেইরূপ দেখিয়া, সেই প্রকৃতির রন্ধে, রন্ধে, প্রাণদায়ী বংশী-স্বর শুনিয়া, মনে হইয়াছিল, নীল জীমূতে বসিয়া সেই তপস্তা করি, সেই পঙ্কজ-নিন্দিত চরণ-ত্র ধ্যান করি । চৈতন্য তাহাই করিয়াছিলেন, তাই তার শরীরে দিব্য-প্রভা ফুটিয়াছিল, তাই তার শুভ্র যশে বঙ্গ বিমুগ্ধ হইয়াছিল। সেই রূপ দেখিলাম, সেই দিব্যবাসে নাসারন্ধ, পরিপূরিত হইল ; নীলাকাশ-পাশ্বে নীল সুন্দর গিরুি নিভ সেই দেহঘষ্টি বিরাজিত ছিল, হস্তে মনোলোভা বঁাশি ধরিয়া দাড়াইয়াছিলেন ! আহা, কি দেখিয়াছিলাম ! প্রকৃতি প্রফুল্ল রাজীব-সমুচ্চয়ে স্ত্রপদে অঞ্জলি দিয়া তাহাকে পূজা করিতেছিলেন ; কেবল আমি পারিলাম না। কত কাদিয়াছিলাম ; মনে । হইয়াছিল, দিব্য রাগিণীতে সেই বঁাশী গাইয়াছিল,—“চিত্ত শুদ্ধ কর, বৃন্দাবন না হইলে তিনি আসেন না।” তখন বলিয়াছিলাম, —“কর-চরণকৃত অপরাধ, প্রভো, ক্ষমা কর ; কায়জ-কৰ্ম্মজ।