পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেখা । ዓ@ আমরা প্রথম, দেখিব, তুমি নীতিবিষয়ে আমাদের আদশ হইতে পার কি না ? প্রথম তোমাদের স্বামি-স্ত্রীর সম্বন্ধে দেখিব। হিন্দুস্থানে স্বামি-স্ত্রীর সম্বন্ধ অতি পবিত্র। প্রথম তিন জাতি যথাক্রমে ৮ম, ১১শ ও ১২শ বৎসরে উপবীত গ্রহণ করেন। সেই শৈশব হইতে তাহাদের ধৰ্ম্মজীবন আরব্ধ হয় । যখন জ্ঞান উন্মেষিত হয় নাই, তখন মনুষ্যের সহিত পশুর পার্থক্য নাই । শিশুকে কবি দেববং নিৰ্ম্মল ভাবিতে পারেন, কিন্তু যুক্তি দ্বারা দেখিলে, শিশু পশু-জাতির তুল্য অজ্ঞান। কিন্তু যে মূহুর্তে শিশুর জ্ঞান উন্মেষিত হইল, সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে হিন্দু তাহার গতি ধৰ্ম্মের দিকে প্রবাহিত করিতে প্রয়াসী । কারণ, জ্ঞান যদি পাশবাচারে নিযুক্ত হয়, তবে সে জ্ঞান ব্যাদি। ইন্দ্ৰিয়-নিরোধ, সংযম, ঈশ্বর-চিন্তা,~–এই সব গুরুতর ব্যাপারে ৮ম বর্ষেই শিশু ব্ৰতী হইল। কিন্তু স্ত্রী-জাতির উপবীত গ্রহণ প্রথা নাই ;--তবে অতি অল্প বয়সে তাহীদের বিবাহ দিবার জন্ত শাস্ত্রের ব্যবস্থা— অর্থাৎ, অষ্টম বর্ষে বিবাহ হইলে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ফল, নবমে হইলে তদপেক্ষ কিঞ্চিৎ নুনি, দশমে হইলে তার চেয়েও অল্প । এইরূপ স্ত্রীজাতির উপবীত সংস্কার না থাকিলেও, যত শীঘ্র তাহাদিগের ধৰ্ম্মজীবন গঠিত করিয়া তাহাদিগকে ব্রতধারিণী করান যাইতে পারে, তজ্জন্ত হিন্দুশাস্ত্র চেষ্টত। - যে ব্যক্তি বলে, বাল্য-বিবাহের উদ্দেশু ইঞ্জিয় চরিতার্থ করা, সে মূঢ়। সেই অতি শৈশব হইতে বালিকা একমাত্র লক্ষ্য স্থির করিয়া, মনোবৃত্তি সংযম-অভ্যাস করিয়া ব্রতধারিণী হইয়া থাকিবে ; তাহার স্বামীই একমাত্র লক্ষ্য ; আজন্ম এক দেবসেবায় তাহার নিজের অন্ত স্বার্থ বিস্তৃত হইতে হইবে। হিন্দুর