পাতা:লক্ষটাকা - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিস্ময়ান্বিত GRC তাহাই সে আপনার মামীর উকীলের পত্রে তঁহার মৃত্যুর কথা ও সম্পত্তির কথা জানিতে পারে । টাকার লোভে সে আপনার নাম লইয়া বোম্বাই গিয়াছিল।” হারকিষণ দাস ভয়ানক ভ্ৰকুট করিলেন। তৎপরে ধীরে ধীরে বলিলেন, “বুঝিতেছি।” জয় বন্ত বলিলেন, “এখন বুঝিতেছি।” হারকিমণ দাস ক্ৰোধাভরে বলিয়া উঠিলেন, “বুঝিতেছি আমার মাথা । আমার সে লাখ টাকা কই ?” তুলসী বাঈ বলিল, “নিশ্চয় কেহ আমার স্বামীকে খুন করিয়া এ টাকা চুরি করিয়াছে।” জয়বন্ত বলিলেন, “তোমার স্বামী যে তোমাকে চিঠি লিখিয়াছিলেন, তাহা তোমার কাছে আছে ?” “আছে, ঐ বাক্সে ।” জয়বন্ত বাক্স হইতে চিঠিখানি লইয়া পড়িলেন। তৎপরে বলিলেন, “আর তুমি কিছু জান না ?” “oll ! “ভাল, আমি এ বিষয় সন্ধান করিব, যদি কিছু জানিতে পারি, তোমায় বলিব ।” তাহার পর তিনি হারকিষণ দাসের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “আসুন ।” তাহার বিশ্বাসী কৰ্ম্মচারী গোপাল দাস চোর-তাহার টাকা চুরি করিয়াছিল, ক্ৰোধে হারকিষণ দাসের আপাদমস্তক পুর্ণ হইয়া গেল । কোন কথা কহিলেন না । জয়বান্তের সহিত বাহিরে আসিলেন । হারকিষণ বাহিরে আসিয়া বসিয়া পড়িলেন । জয়বন্ত বলিলেন, “যাহা শুনিলেন, আপনার বিশ্বাস হয় ?”