পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোকে । సె অভিভূত করিয়াছিল। তাহারা নিদ্রঘোরে অচেতন ছিলেন ; নিদ্রাভঙ্গে উঠিয়া দেখিলেন,-সন্তান শয্যায় নাই। সে কোথায় গেল ? সেই দিন হইতেই তাহারা খুজিয়া বেড়াইতেছেনদে কোথায় গেল ? পেটে অন্ন নাই ; পরিধানে ছিন্ন মলিন বস্ত্র ; পাগলের ন্যায় দেশে দেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। কিন্তু কোথাও পুত্রের সন্ধান পাইতেছেন না। ব্রহ্মচারী-বেশে সে যে কোন দেশে কোথায় গেল, কিছুই অনুসন্ধান হইল না। ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী যাহাকে দেখিতেছেন, র্তাহাকেই জিজ্ঞাসা করিতেছেন,—“তোমর! বলিতে পার কি, আমাদের পুত্র কোথায় গেল ? কেহই প্রকৃত সংবাদ দিতে পারে নাই। ঘূরিতে ঘূরিতে তাহার। মিথিলায় আসিয়া পড়িয়াfছলেন । ৮কাশীধামে পুত্রের একবার শেষ অনুসন্ধান করিয়া দেখিবেন, মনস্থ ছিল। সেখানে যদি তাহাকে না পাইতেন, পতিতপাবনী জাহ্নবীর জলে জীবন বিসর্জন দিয়া সকল যন্ত্রণার শান্তি করিতেন । কিন্তু রাজা জয়সিংহ সে পথে অন্তরায় হন । কাশীধামে উপস্থিত্ত হইবার আশা এখন সুদূরপরাহত । কাজেই তাহার। আর জীবন রাখিতে চাহেন না । ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীর কাতরোক্তিতে মহারাজ লক্ষ্মণ-সেন তাহাদের ঐরপ পরিচয় প্রাপ্ত হইলেন। তাহদের কথাবাৰ্ত্তীয় উহাদের পুত্রের যে রূপ-গুণের পরিচয় পাইলেন, তাহাতে মহারাজ লক্ষ্মণ-পেনের মনে এক পুরাতন স্মৃতি জাগিয়া উঠিল। সেইরূপ রূপগুণসম্পন্ন এক ব্রহ্মচারী বালককে তিনি যেন দেখিয়ছেন, তিন যেন তঃ র হিত পরিচিত হইয়াছেন,— সেই কথাই তাহর মনে হইল। কিন্তু সে বালক তো