পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বক্তিয়ার-সকাশে ! २¢१ বক্তিয়ার কহিলেন,-“ আপনি সকল বিষয়ই অবগত আছেন। এখন বলুন দেখি, কি উপায়ে আমরা নবদ্বীপসাম্রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারি ?” ত্ৰিলোচন কম্পিত কণ্ঠে কহিলেন,--“আমি সামান্য ব্যক্তি। পে পরামর্শ আমি কি দিতে পারি ? আমি মহারাজের সামান্য একজন প্রজা বৈ তো নয়!” বক্তিয়ার —“দেখুন, আপনার ক্ষমতা-অক্ষমতার বিষয় সকলই আমি অবগত আছি । আমার নিকট কেন আপনি বিনয়ের ভাব প্রকাশ করিতেছেন!” এই বলিয়। বক্তিয়ার একরাশি সুবর্ণ-মুদ্র সম্মুখে রাখিয়া কহিলেন,-“দেখুন, এই সুবর্ণ-মুদ্র গুলি আপনার সম্মানার্থ রক্ষিত হইয়াছে। এগুলি সমস্তই আপনার । রাজ। লক্ষ্মণসেনের ষড়যন্ত্রে আপনার অবস্থা-বিপৰ্য্যয় ঘটিয়াছে সংবাদ পাইয়া, প্রথমেই আপনাকে এই উপঢৌকন প্রদান করিতেfছ ; অনুগ্রহ করিয়া গ্রহণ করুন। নবদ্বীপ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারি বা ন পারি, এ সুবর্ণ-যুদ্রায় আপনার পূর্ণ-অধিকার । নবদ্বীপ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারি, সে পুরস্কার, – কথায় আধু কি বলিব,— মনে মনেই রহিল ।” ত্রিলোচন চমকিয়া উঠিলেন । এতাধিক সুবর্ণ-মুদ্রা এক সঙ্গে তিনি তো কখনও চক্ষে দেখেন নাই ! তিনি অনেক সময় অনেক অর্থ লইয়া নাড়াচাড়া করিয়াছেন ; তিনি নিজেও বিপুল অর্থের অধিকারী ছিলেন । কিন্তু এক সঙ্গে এত সুবর্ণ মুদ্রা কখনও তো তাহার নয়নপথে পতিত হয় নাই ! ত্রিলোচন মনে মনে কহিলেন,—“বক্তিয়ার কে ? বক্তিয়ারের এত অর্থ!