পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্তিম-শয্যায় । २७१ শোভাকে লইয়৷ তুমি নবদ্বীপ যাত্রা করিবে ! উহঁদের পিতামাতার ন্যায় তোমারও মনে সাধ হইয়াছিল,—শোভাকে ও বীরসিংহকে পরিণয়-শৃঙ্খলে আবদ্ধ করিয়া উহাদিগের মনেব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। বীরসিংহ মিথিলার সিংহাসনে আরোহণ করিবেন, শোভা রাজরাণী হইবেন ;—কেবল তোমার প্রাণে নহে, মহারাজ-চক্রবর্তী লক্ষ্মণ-সেনের প্রাণেও এ আকাঙ্ক্ষা জাগরুক ছিল। কিন্তু দেখ—কৰ্ম্মফল ! কৰ্ম্মস্থত্র কেহই ছিন্ন করিতে পারিল না! হা অদৃষ্ট —হ দুর্ভাগ্য!” অনেকক্ষণ পরে বীরসিংহের পুনরায় চৈতন্য হইল । বীরসিংহ আবার ‘শোভা’ ‘শোভা বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন । ভৈরবীনন্দ স্বামী সাস্তুনা দিয়া কহিলেন,—“বাব ! শান্ত হও ।” ইতিমধ্যে শো তাকে সঙ্গে লইয়। দয়ানন্দ স্বামী ভৈরবনাথের মন্দিরে উপস্থিত হইলেন। বীরসিংহকে রক্তাক্ত-কলেবর দেখিয়া শোভা কঁদিতে কঁদিতে কহিলেন,-“আমায় ফেলিয়। পলাইবেন ? কৈ ?—পলাইতে তে পারিলেন না !” বীরসিংহ চক্ষু চাহিলেন । চারি চক্ষের মিলন হুইল । অশ্রুধারায় উভয়েরই বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইতে লাগিল। বীরসিংহ কাতর-কণ্ঠে কহিলেন,—“শোভা !—আমার প্রাণদাত্রী শোভা ! আমার শুশ্ৰুষাকারিণী শোভ ! আমায় ক্ষম কর । আমি তোমায় বড় বেদনা দিয়াছি ;–তুমি আমায় ক্ষমা কর। তুমি রাজনন্দিনী ; আমার জন্য বনবাসিনী হইয়াছ । কিন্তু আমি তোমায় কি কষ্ট না দিয়াছি ! আমার একটী কথা শুনিলে তোমার কত আনন্দ হইত ; সে কথার উত্তর পাইলে তুমি